টানা তৃতীয় গ্রীষ্মে পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত অব্যাহত। যদিও গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং হ্রদের গা বরাবর এলাকা এবং গোগরা-হটস্প্রিং এলাকায় গত তিন বছরে বেশ কিছু বাফার জোন তৈরির সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে এসেছে। এই মাসের শুরুর দিকে বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন যে পূর্ব লাদাখের LAC-তে পরিস্থিতি এখনও "বেশ উদ্বেগজনক"। তিনি এর আগে এই অঞ্চল সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিলেন "অস্থির" এবং "অস্বাভাবিক" বলে অভিহিত করেছিলেন।
কর্মকর্তাদের মতে, গ্রীষ্মকালীন পরিস্থিতিতে কৌশলগত বেশকিছু বদল আনার কথা ভাবা হচ্ছে। এই অঞ্চলে মোতায়েন হাজার হাজার সেনা যাতে স্বাচ্ছন্দ্য কর্তব্য পালন করতে পারেন তার লক্ষ্যে কাজ চালানো হচ্ছে। ২০২০ সালে অচলাবস্থা শুরু হওয়ার পরে ভারত এবং চিন উভয় দেশই লাদাখে ৫০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করে।
একজন সিনিয়র আধিকারিক এপ্রসঙ্গে বলেন, গ্রীষ্মকালীন সময়ে এলএসি বরাবর এবং নতুন তৈরি বাফার জোনগুলির ওপর নিবিড় পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকবে। "পর্যাপ্ত শক্তি মজুত থাকবে এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে রিজার্ভ ফোর্স ও মজুত থাকবে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, অত্যাধুনিক আকাশযান এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করে সীমান্ত বর্তী অঞ্চলে কড়া নজর চালানোর পাশাপাশি যেসব এলাকায় নিয়মিত টহল দেওয়া যায সম্ভব নয় সেখানে ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। সংঘাত এড়াতে প্রোটোকল অনুসরণ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
কর্মকর্তারা বলেছেন যে যদি রাষ্ট্রীয় রাইফেলসকে ছয়টি কোম্পানি থেকে চারটি কোম্পানিতে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা কার্যকর হয়, তাহলে ঘাটতি পূরণের জন্য J&K থেকে অতিরিক্ত RR ব্যাটালিয়নকে লাদাখে কাজে লাগানো হবে। ২০২১ সালে প্রায় ছয়টি ব্যাটালিয়নের সাথে RR-এর ইউনিফর্ম ফোর্স লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছিল।
ভারত গত তিন বছরে রাস্তা, সেতু, টানেল, হেলিপ্যাড এবং সৈন্যদের আবাসস্থল এবং আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে LAC বরাবর সেনাপরিকাঠামোকে উন্নয়ন করার চেষ্টা চালিয়ে গেছে। সেনাবাহিনী এই অঞ্চলে যোগাযোগ পরিকাঠামোকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে, এলএসি বরাবর সামনের পোস্ট পর্যন্ত, এবং ভয়েস এবং ডেটা লিঙ্ক আপগ্রেড করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশ সহ সমগ্র এলএসি জুড়ে একই রকমের ব্যবস্থা থাকছে।