অস্বস্তি বাড়ল মন্ত্রী-পুত্র আশিস মিশ্রের। লখিমপুর খেরির কৃষক হত্যার মামলায় আশিসের জামিন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁকে এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চ।
প্রধান অভিযুক্ত আশিস মিশ্রেকে এর আগে জামিন দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট ভুক্তভোগীদের পরিবারকে শুনানির সুযোগ দেওয়ার পরে মিশ্রকে জামিন দেওয়া উচিত কিনা তা নতুন করে বিবেচনা করার জন্য বিষয়টিকে হাইকোর্টে ফেরত পাঠায়। ৩০ মার্চ যোগী প্রসানকে আশিসের জামিন খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
গত বছরের ৩ অক্টোবর, আশিস মিশ্রের বাবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের মালিকানাধীন একটি থার সহ তিনটি এসইউভির একটি কনভয় লখিমপুর খেরিতে বিক্ষোভকারী কৃষকদের পিষে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এতে চার কৃষক ও একজন সাংবাদিক নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন। এর পরে ফের সংঘর্ষে দুই বিজেপি কর্মী এবং এক গাড়ির চালক নিহত হন।
২০২১-য়ের ১৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট স্বতপ্রণোদিতভাবে বিষয়টি বিবেচনার জন্য গ্রহণ করে। উত্তরপ্রদেশ সরকার গঠিত সিটের তদন্ত খতিয়ে দেখতে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রাকেশ কুমার জৈনকে নিযুক্ত করেছিল।
তদন্ত ও অভিযোগপত্রের পরে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ চলতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারি আশিস মিশ্রকে জামিন দেয়। নির্দেশে উল্লেখ ছিল যে, অভিযুক্ত অশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে একটি গাড়ির চালককে বিক্ষোভকারীদের পিষে দেওয়ার উসকানি ছিল। পাল্টা বিক্ষোভকারীদের হাতে হত্যার হঘটনাও ঘটেছে। আদালতের যুক্তি ছিল যে সেখানে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ছিল, চালক নিজেকে বাঁচাতে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিয়ে থাকতে পারে। এই মামলায় চালক ও সহযাত্রীদের হত্যার বিষয়টি উপেক্ষা করা যাবে না।
ভুক্তভোগীদের কিছু আত্মীয় তারপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় এবং দাবি করে যে হাইকোর্ট যখন আশীসের জামিনের আবেদন গ্রহণ করেছিল তখন তাদের শুনানি করা হয়নি। তারা জানান, কার্যত শুনানির সময় কিছু সমস্যা ছিল। মামলাকারীদের অভইযোগ ছিল যে, ন্য়ায্য বিচারের জন্য তাঁরা আবেদন করলেও কোর্টকে জানানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
Read in English