লখিমপুর খেরিতে পিষে মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের সরকারের ভূমিকায় অসন্তষ্ট শীর্ষ আদালত। বিচার প্রক্রিয়া অনন্তকাল ধরে চলতে পারে না বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, এই মামলায় দ্রুত সব সাক্ষীদের বয়ান রেকর্ড এবং তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৪৪ জন সাক্ষীর মধ্যে কেন মাত্র ৪ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত।
এছাড়াও এখনও পর্যন্ত এই মামলায় কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জেরা চলেছে কিনা তাও সরকারি আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি হরিশ সালভে এদিনের শুনানিতে বলেন, 'আমরা মঙ্গলবার রাত ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু তখনও তা আমাদের হাতে কোনও রিপোর্ট পৌঁছায়নি।' এর জবাবে উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবী হরিশ সালভে জানান, রিপোর্ট মঙ্গলবারই জমা দেওয়া হয়েছে। তখন প্রধান বিচারপতি রামানা তাঁকে প্রশ্ন করেন, 'একেবারে শেষ মুহূর্তে জমা দিলে কী করে তা পড়া সম্ভব? আরও অন্তত একদিন আগে এটা জমা দেওয়া উচিত ছিল।'
বিচারপতিরা হরিশ সালভের থেকে জানতে চান মামলায় কেন ৪ জনের বেশি লোকের সাক্ষ্য পাওয়া গেল না? জবাবে সালভে বলেন, 'বয়ার রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলছে। সব অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হবে।'
চলতি মাসের ৩ তারিখ লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের বিক্ষোভ চলাকালীন তিন এসইউভি গাড়ির চাকায় পিষে মৃত্যু হয় চার কৃষকের। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশ গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান প্রতিবাদীরা। চলে গণপিটুনিও। সেই হিংসাত্মক পরিস্থিতির মাঝে পড়ে প্রাণ হারান আরও ৪ জন। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র ছেলে আশিস মিশ্র। ঘটনাক ৬দিন পর অভিযুক্ত মন্ত্রী-পুত্রকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ মূল অভিযুক্তকে কেন এত পরে গ্রেফতার করল তা নিয়েও প্রশ্নের ঝড় বয়ে গিয়েছিল।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন