/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/12/Untitled-design.jpg)
মূল অভিযুক্ত লখিমপুর খেড়ি জেলে বন্দি।
Lakhimpur Kheri Incident: লখিমপুর খেড়ি-কাণ্ড পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। কোর্টে পেশ করা রিপোর্টে এই দাবি করেছে বিশেষ তদন্তকারী দোল বা সিট। স্থানীয় এক আদালতে জমা করা রিপোর্টে উল্লেখ, 'গাফিলতি বা অসতর্কতার জন্য নয়। বরং খুনের উদ্দেশ্য নিয়েই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।' এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে আশীষ মিশ্র লখিমপুর খেড়ি জেলে বন্দি। সিটের পেশ করা রিপোর্ট প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী এসপি যাদব বলেন, 'আদালতে বিশেষ তদন্তকারী দল খুন, অস্ত্র আইন এবং অপরাধের উদ্দেশ্য ধারায় ১৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করতে বলছে। যদিও এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি আদালত।'
এদিকে, লখিমপুর কাণ্ডে ধৃত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস সম্প্রতি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। গত অকটোবরে আশিসের ডেঙ্গু হওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। আপাতত আশঙ্কার কিছু নেই বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
এদিকে, তদন্তে জেরার জন্য আশিসকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পুলিশ হেফাজতেই ডেঙ্গু হয় তাঁর। রক্ত পরীক্ষার পর দেখা যায় তাঁর শরীরে প্লেটলেট কমেছে। তড়িঘড়ি পুলিশ তাঁকে জেলা সংশোধনাগারে নিয়ে যায় সেখানকার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য। ওখানেই এখন চিকিৎসাধীন ছিলেন আশিস, জানিয়েছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরুণ কুমার সিং।
এর আগে লখিমপুর কাণ্ডে তিকোনিয়ার ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে নাট্য রূপান্তর করে পুলিশ। ৩ অক্টোবর কী হয়েছিল তা জানতে পুলিশ সেখানে আশিস-সহ বাকি ধৃতদের নিয়ে যায়।
২৯ সেকেন্ডের ভয়াবহতা! সামান্য সময়ের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে রবিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এসইউভি পিষে দেয় বিক্ষোভরত কৃষকদের। তাতে চারজনের মৃত্যু হয়। সেই ভয়াবহ ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছিল কংগ্রেস। ভিডিও টুইট করে তাদের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে কৃষকদের পিষে দেয় মন্ত্রীর গাড়ি।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, আন্দোলনরতদের একটি দল এগিয়ে যাচ্ছিল কৃষিখেতের ধারে একটি রাস্তার দিকে। তখনই পিছন থেকে গাড়িটি গতি বাড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। একজন চলন্ত গাড়ির বনেটে লাফ দেন গাড়ি ধাক্কা মারতেই। তারপর সামনে সবাইকে পিষে বেরিয়ে যায় গাড়িটি। ততক্ষণে বেশ কয়েকজনের দেহ রাস্তার ধারে দলা পাকিয়ে পড়েছিল।
ভিডিওটি টুইটারে ট্র্যাক্টর টু টুইটার নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকেও পোস্ট হয়। তারা নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়েছে। এই ঘটনার পর হিংসা ছড়ালে আরও চার জনের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছিল। তাঁরা বলেছিলেন, চোখের সামনে সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা সারাজীবন তাঁদের তাড়া করবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন