এ যেন আস্ত মেগা সিরিয়ালের টানটান চিত্রনাট্য! শাশুড়ি-ননদের সঙ্গে তুমুল অশান্তি বৌমার। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ! পারিবারিক এই দ্বন্দ্বেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিহারের যাদব পরিবারে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্রবধূর বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় বিহার। শাশুড়ি, ননদরা তাঁর উপর দিনের পর দিন নির্যাতন চালাচ্ছেন বলে রবিবার মুখ খুলেছেন লালু-পুত্র তেজপ্রতাপ যাদবের স্ত্রী ঐশ্বর্য রাই।
তেজ প্রতাপ যাদব ও ঐশ্বর্য রাই। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন: সাধন পাণ্ডের প্রেমকাহিনী শোনালেন মমতা
ঠিক কী অভিযোগ করেছেন লালুর বৌমা?
রবিবার বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর বাসভবন ১০, সার্কুলার রোডে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একের পর এক বোমা ফাটালেন ঐশ্বর্য। প্রথমেই আঙুল তুলেছেন সম্পর্কে তাঁর ননদ তথা লালু কন্যা মিশা ভারতীর দিকে। তিনি বলেন, ‘‘আমি চেয়েছিলাম তেজপ্রতাপের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা টিকুক। আমার স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করার পরও এই সংসারে থেকে গিয়েছি। এখনও বিচ্ছেদ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আর এখন থেকেই ওঁরা (শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা) আমার সঙ্গে যে ব্যবহার করছেন, যেন আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে’’। ঐশ্বর্য আরও বলেন, ‘‘গত ৩ মাস ধরে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। রান্নাঘরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। শাশুড়ি মা’র এক কর্মী খুব খারাপ ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেছেন রান্নাঘরের চাবি আমায় দেওয়া হবে না’’। ঐশ্বর্যের মোবাইন ফোন কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন। ঐশ্বর্যের অভিযোগ, দুই ভাইয়ের (তেজপ্রতাপ ও তেজস্বী) মধ্যে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছেন মিশা।
এ ঘটনায় লালুর নাম উল্লেখ করে ঐশ্বর্য বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্য যে, আমার শ্বশুর মশাই নেই এখানে। উনিই একমাত্র এ সমস্যার সমাধান করতে পারতেন। মিশা ভারতী কখনই চান না যে আমার বিয়ে টিকুক’’। এ ঘটনায় ‘মহিলা হেল্পলাইনে’ ফোনও করেন লালুর পুত্রবধূ। ‘মহিলা হেল্পলাইন’-এর ওই কর্মী জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার পরই এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। উল্লেখ্য, গত বছর মে মাসে তেজ প্রতাপ যাদবের সঙ্গে বিয়ে হয় ঐশ্বর্য রাইয়ের। বিযের ৬ মাসের মধ্যেই ঐশ্বর্যকে ডিভোর্স দেন তেজপ্রতাপ।