স্বস্তি লালুপ্রসাদ যাদবের। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। শুক্রবার ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় লালুপ্রসাদের জামিন মঞ্জুর করেছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। শীঘ্রই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে। ১ লক্ষ টাকা জামানত এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হিসাবে জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন লালুর আইনজীবী।
ডোরান্ডা ট্রেজারি থেকে বেআইনি ভাবে ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় আরজেডি প্রধান লালুকে। ১৯৯৬ সালে সংগঠিত এই কেলেঙ্কারিতে মামলা দায়ের করে সিবিআই। ১৭০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ডোরান্ডা ট্রেজারি সংক্রান্ত পঞ্চম পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই মামলায় লালুকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। পাশাপাশি ৬০ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করেছিল আদালত।
ভারতের ইতিহাসে অন্যতম বড় পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলা জড়িত কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। এই মামলায় লালু-সহ ৭৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এর আগে, দুমকা, দেওঘর, চাইবাসা ট্রেজারির মামলায় লালুকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ৯৫০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ৫৩টি মামলা দায়ের করে সিবিআই। চয়বাসা ট্রেজারি থেকে ৩৭.৭ কোটি এবং ৩৩.১৩ কোটি, দেওঘর ট্রেজারি থেকে ৮৯.২৭ কোটি এবং দুমকা ট্রেজারি থেকে ৩.৭৬ কোটি তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। এই মামলায় জেলও খাটেন লালু।। তবে হালে দুমকা, দেওঘর, চায়বাসা ট্রেজারির চারটি মামলায় জামিন পেয়েছেন লালু প্রসাদ।
Read in English