ঐশ্বর্য রাইকে বিয়ে করছেন লালুপুত্র, কয়েকমাস আগে এমন খবর দেখে চোখ কপালে উঠছিল অনেকের। সেই ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গেই এবার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করলেন লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজ প্রতাপ যাদব। বনিবনা হচ্ছে না, সে কারণেই তেজপ্রতাপ বিচ্ছেদের রাস্তা বেছে নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী ২৯ নভেম্বর এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি বলে খবর। মে মাসের ১২ তারিখ বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দারোগা রাইয়ের নাতনি ঐশ্বর্যকে বিয়ে করেন তেজ প্রতাপ। বলিউড ডিভা ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে লালুপুত্রের স্ত্রীর নামের মিল থাকা নিয়ে জোর চর্চাও হয়।
আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তেজ প্রতাপের আইনজীবী যশবন্ত কুমার শর্মা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে তেজ প্রতাপের আইনজীবী বলেন, “বেশি কিছু বলতে পারব না। আমার মক্কেল বলেছেন যে, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছে না, তাই তিনি বিচ্ছেদ চেয়েছেন।” সিভিল কোর্ট চত্বরে এদিন আরজেডি নেতাকে সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেও কোনও কথা বলেননি তেজপ্রতাপ। তাঁর কপালে একটি ছোট ব্যান্ডেজ দেখা যায়।
আরও পড়ুন: পুলিশে-পুলিশে লড়াইয়ে উত্তাল বিহার
অসুস্থ বাবাকে দেখতে রাঁচি রওনা দিয়েছিলেন তেজ প্রতাপ। কিন্তু সেখান থেকেই তাঁর মা রাবড়ি দেবীর বাড়িতে আসেন তেজ প্রতাপ। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, রাবড়ি দেবী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা তেজ প্রতাপকে বোঝান। পাটনায় রাবড়ি দেবীর বাড়িতে আসেন লালু কন্যা মিশা ভারতীও। সূত্র মারফৎ এও জানা গিয়েছে যে, ঐশ্বর্যের বাবা চন্দ্রিকা রাই ও স্বয়ং ঐশ্বর্য এ ব্যাপারে মিটমাট করার চেষ্টা করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাবড়ি দেবীর বাড়িতে আসেন ঐশ্বর্য ও তাঁর বাবা।
তেজ প্রতাপ এবং ঐশ্বর্যের সম্পর্ক মসৃণ নয় বলে আগেই লালুপ্রসাদ বলেছিলেন বলে খবর। এক আরজেডি নেতা বলেন, “দু’জনের মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে, লাইফস্টাইলও আলাদা। ঐশ্বর্য যেখানে এমবিএ-তে স্নাতক, সেখানে তেজপ্রতাপ স্রেফ দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন…তাছাড়া তেজ খুব মেজাজি। এসবই হয়তো বিচ্ছেদের কারণ।’’
এ প্রসঙ্গে আরজেডি মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তেওয়ারি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “এই খবর আমরা নিশ্চিতও করব না, আবার অস্বীকারও করব না। এটা তেজ প্রতাপ ও ঐশ্বর্যের ব্যক্তিগত ব্যাপার, ওঁরাই এ খবরের সত্যতা স্বীকার করতে পারেন বা অস্বীকার করতে পারেন।”
Read the full story in English