ঐতিহাসিক রায় পাকিস্তানে, মৃত্যুদণ্ডের আদেশের পরেও খালাস খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী মহিলা

ইসলামকে অবমাননার অপরাধে আসিয়া বিবি২০১০ সালে নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন। ২০১৪ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয় লাহোর হাইকোর্ট। এর ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে ২০১৫ সালে আবেদন করেন আসিয়া বিবি।

ইসলামকে অবমাননার অপরাধে আসিয়া বিবি২০১০ সালে নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন। ২০১৪ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয় লাহোর হাইকোর্ট। এর ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে ২০১৫ সালে আবেদন করেন আসিয়া বিবি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শিশু নিগ্রহ রোধে আইন বদলে সম্মতি মন্ত্রিসভার

ধর্ম বিরোধিতার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর  আট বছর আগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী মহিলা আসিয়া বিবিকে। বুধবার সেই আসিয়া বিবিকে বেকসুর খালাস করল পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত৷  ঐতিহাসিক এই রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে কট্টরপন্থীরা৷ দেশজুড়ে জারি হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷

Advertisment

ইসলামকে অবমাননার অপরাধে ২০০৯ সালে আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় প্রথমবার। ২০১০ সালে দোষী সাব্যস্ত হন নিম্ন আদালতে। ২০১৪ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয় লাহোর হাইকোর্ট। এর ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে ২০১৫ সালে আবেদন করেন আসিয়া বিবি।

আরও পড়ুন, ১৯৮৭-র হাশিমপুর মুসলিম গণহত্যায় ১৬ জন পিএসি কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লি হাইকোর্ট

বুধবার পাকিস্তানের  সুপ্রিম কোর্টেের মুখ্য বিচারপতি সাকিব নিশারের নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, " নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টের রায় বাতিল করে তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হচ্ছে৷ তাঁর শাস্তি  প্রত্যাহার করা হল৷''

Advertisment

বুধবার শীর্ষ আদালতের ঐতিহাসিক রায়ে ঘোষণা করা হয় "আসিয়া বিবির শাস্তি মকুব করা হল। তাঁর বিরুদ্ধে অন্য কোনো অভিযোগ না এনে মুক্ত করা হল আসিয়া বিবিকে"। তিন সপ্তাহ আগে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছলেও রায় জানানো হল বুধবার সকালে।

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ এবং হিংসার আশঙ্কায় কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে।