মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে একটি গ্রামে পাহাড় ধসে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫-২০টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। এনডিআরএফ জানিয়েছে, ‘গ্রামের মোট ৪০টি বাড়ির মধ্যে ১৭টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য আমরা চারটি দল মোতায়েন করেছি। কয়েকটি স্থানে ধ্বংসাবশেষ ১০ থেকে ২৯ ফুট গভীর’।এখনও বেশ কয়েকজন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলার একটি আদিবাসী গ্রামে, পাহাড় ধসের কারণে প্রায় ২০ টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছে, এবং এই ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন মানুষ।মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং মৃতদের পরিবারকে ৫লক্ষ টাকা করে অনুদানের ঘোষণা করেছেন।
মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলায় বুধবার (১৯ জুলাই) গভীর রাতে ভূমিধসের পর ২০-৩০ টিরও বেশি পরিবার আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে প্রায় ৪৬টি বাড়ি রয়েছে৷ প্রশাসনিক আধিকারিকরা বলছেন, ‘এই দুর্ঘটনায় মাত্র দু-চারটি বাড়ি রক্ষা পেয়েছে, গ্রামে তৈরি স্কুলের কোনও ক্ষতি হয়নি’। রায়গড়ের জেলাশাসক যোগেশ মহেশ জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছিল মধ্যরাতে। যে গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে পৌঁছতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের”। জেলার বিভাগীয় কমিশনার মহেন্দ্র কল্যাণকর জানিয়েছেন, তিনি মধ্যরাতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং একটি উদ্ধার অভিযানের একটি সম্পুর্ণ পরিকল্পনা তৈরি করেছেন।
রায়গড়ের পুলিশ সুপার সোমনাথ ঘার্জে বলেছেন যে তারা ভূমিধসের পরে পানভেল এবং নাভি মুম্বাইয়ের সমস্ত হাসপাতালে একটি সতর্কতা জারি করেছে যাতে আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়। এলাকায় চারটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে একনাথ শিন্ডে বলেছেন, “আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছ ফোন পেয়েছি। উদ্ধার অচিযানের জন্য হেলিকপ্টার মোতায়েন সহ কেন্দ্র থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে আবহাওয়ার কারণে এখনকার মতো হেলিকপ্টার ব্যবহার করা সম্ভব নয়। বিপর্যয়স্থলের অবস্থানের কারণে, আমরা অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের সুবিধার্থে ভারী যন্ত্রপাতি মোতায়েন করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি এবং সবকিছু ম্যানুয়ালি করা হচ্ছে,”।