Punjab Election 2022: পাঞ্জাবকে পুনর্জীবিত এবং দুর্নীতিমুক্ত করতে সনিয়া গান্ধিকে চিঠি দিলেন নভজ্যোত সিং সিধু। সেই রাজ্যের ১৩টি ইস্যুকে হাতিয়ার করে আলোচনা চান এই কংগ্রেস নেতা। দলের সভানেত্রীকে লেখা চিঠিতে এই আবেদন করেছেন সিধু। তিনি বলেছেন, ‘আগামি ভোটে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারে ইস্যু হতে পারে এই ১৩টি বিষয়। এটাই পাঞ্জাবকে পুনর্জীবিত এবং দুর্নীতিমুক্ত করার শেষ সুযোগ। তাই আমি আপনার সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে বৈঠক করতে চাই।‘
জানা গিয়েছে, এই ১৩টি ইস্যুর মধ্যে অন্যতম—মাদক, কৃষি, বেকারত্ব, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির অন্নুয়নজনিত সমস্যা। এমনকি, পাঞ্জাবের চান্নি সরকারের মন্ত্রিসভায় জাতপাতের ভিত্তিতে ফের একবার রদবদলের পক্ষপাতী সিধু। সেই প্রসঙ্গে তিনি সনিয়াকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
১৫ অক্টোবর লেখা সেই চিঠি রবিবার তাঁর ট্যুইটারে পোস্ট করেন সিধু। এদিকে, তিনি কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের জন্য সভানেত্রীর দায়িত্ব পালনে রাজি। দলের সভাপতি পদের বদলের জল্পনায় জল ঢেলে কর্মসমিতির বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিলেন সনিয়া গান্ধী। তাঁর এই ঘোষণা দলের বিক্ষুব্ধ জি-২৩ নেতৃত্বের প্রতি কঠোর বার্তা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কর্মসমিতির বৈঠকে শুক্রবার শুরুতেই সনিয়া গান্ধি বলেন, ‘আপনারা অনুমতি দিলে, আমি কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী হতে পারি। আমি বরাবরই গণতান্তিক পরিবেশে উপর ভরসা করেছি। তাই সংবাদমাধ্যমের বিবৃতির মাধ্যমে আমার সঙ্গে কথা বলার কী প্রয়োজন? আসুন সবাই মিলে খোলামেলা আলোচনা করি। যা সিদ্ধান্ত হবে তা এই চার দেওয়ালের বাইরে কর্মসমিতির সিদ্ধান্ত বলেই বিবেচিত হবে।’
বছর দুই আগে লোকসভায় দলের পরাজয়ের দায় স্বীকার করে রাহুল গান্ধি কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তারপর হাল ধরতে দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সনিয়া। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে বিপর্যয়ের পর দলের সাংগঠনিক বিস্তার ও পূর্ণ সময়ের সভাপতির জন্য দাবি ওঠে কংগ্রেসের অভ্যন্তরেই। দলের বিক্ষুব্ধ এই নেতারা জি-২৩ বলে পরিচিত।
সনিয়া আগে জানিয়েছিলেন, কর্মসমিতির বৈঠকে সাংগঠনিক নির্বাচন ও নেতৃত্বের বদল নিয়ে আলোচনা হবে। শেষ পর্যন্ত সনিয়া নিজেই জানালেন যে, তিনিই কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের জন্য সভানেত্রীর দায়িত্ব পালনে রাজি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখনটেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন