কোনও নির্বাচনী সংস্কার করতে গেলে অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ আবশ্যিক। একথা জানালেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন ওই শ্রমিকদের বর্তমানে কর্মস্থল থেকেই ভোটদানের প্রক্রিয়া চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে। তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই রিজিজু একথা জানিয়েছেন। বুধবার ছিল ১৩তম জাতীয় ভোটার দিবস। দিল্লিতে তারই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন রিজিজু। তখনই তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন নির্বাচন কমিশনের তিন সদস্য। তাঁদের উপস্থিতিতে রিজিজু বলেন, 'বর্তমানে আমাদের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব আছে। কিন্তু, আমরা মনে করি বিস্তর আলোচনা করেই কোনও নির্বাচনী সংস্কারের পথে হাঁটা উচিত। আমাদের রীতি হল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা। কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের থেকে মতামত নেওয়া। পাশাপাশি সরকারের সঙ্গেও আলোচনা চালানো। এটাই একটা স্পন্দনশীল গণতন্ত্র। এখানে যে কোনও সিদ্ধান্ত আলোচনার পরই গ্রহণ করা হয়।'
ইতিমধ্যে দূর থেকে ভোটিং প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ ইস্যুতে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব চেয়েছে। ১৬ জানুয়ারি দলগুলোকে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছিল। সব দলই বিষয়টি নিয়ে আরও বেশি করে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। দলগুলোর এই সব বক্তব্যের জেরে কীভাবে এই দূর থেকে ভোটগ্রহণ হবে, তার ডেমোও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের দেখিয়েছে কমিশন। মন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকার নির্বাচনী সংস্কারের পক্ষে। সেই কারণে কমিশনের সঙ্গে সরকার নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
আরও পড়ুন- সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরই বাধছিল ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধ, ফাঁস করলেন পম্পেও
মন্ত্রী জানান, বেশ কিছু নির্বাচনী সংস্কারের জন্য আইনি সংস্কারও প্রয়োজন হয়। বছরে শুধুমাত্র ১ জানুয়ারিই নয়। মোট চারটি দিনে ১৮ বছর পূর্ণ হলেই ভোটার কার্ড পাবেন নাগরিক। এই ব্যবস্থা ২০২২ সালে চালু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত দেড় লক্ষ নতুন ভোটার পেয়েছে দেশ। ভবিষ্যতেও নির্বাচনী ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রগতি আনতে তাঁরা বদ্ধপরিকর বলেই রিজিজু জানিয়েছেন।
Read full story in English