MPs, MLAs practicing law: সাংসদ বিধায়করা আইনজীবী হিসেবে তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন বলে রায় দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ৪৯ নং আইন এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় কারণ এঁরা বেতনভুক কর্মচারী নন। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, ভারতের বার কাউন্সিল আইন আইনপ্রণেতাদের আইনজীবী হিসেবে কাজ করার ব্যাপারে অন্তরায় নয়।
এ ব্যাপারে গত জুলাই মাসে রায়দান মুলতুবি রেখেছিল শীর্ষ আদালত। এ নিয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন দিল্লির বিজেপি বিধায়ক এবং আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পাবলিক ইন্টারেস্ট ফাউন্ডেশন এবং আরো অনেকে।
আরও পড়ুন, ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তরা ভোটে লড়বে কিনা সে নিয়ে আইন প্রণয়ন করুক সংসদ- সুপ্রিম কোর্ট
কেন্দ্রের তরফ থেকে এই মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেণুগোপাল সওয়াল করেন, বিচারবিভাগের আইন প্রণয়ণের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়, তা আইনসভার অধিকার। অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের তরফে বর্ষীয়ান আইনজীবী শেখর নাফাডে বলেন, আইনপ্রণেতারা জনগণের অর্থ থেকে বেতন পান এবং একজন বেতনভুক কর্মচারী আইনজীবী হিসেবে কাজ করতে পারেন না বলে বার কাউন্সিল আইনে বলা রয়েছে।
এর উত্তরে বেঞ্চের তরফ থেকে বলা হয়, চাকরির অর্থ প্রভু-ভত্যের সম্পর্ক, এবং ভারত সরকার একজন সাংসদের প্রভু নন।
এদিকে অন্য একটি মামলায় আজ শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন ক্রমবর্ধমান এবং দুর্বৃত্তদের রাজনীতিতে আসা বন্ধ করতে আইন প্রণয়ন করা হবে কিনা তা সংসদের উপর ছেড়ে দিয়েছে। তবে একই সঙ্গে এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালত কয়েকটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে। প্রথমত কোনও প্রার্থীকে নির্বাচনী ফর্ম ভরার সময়ে মোটা হরফে (বোল্ড) লিখতে হবে, তাঁর বিরুদ্ধে কী কী ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে নজের দলকেও অবহিত করতে হবে ওই প্রার্থীকে। সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকেও জানিয়ে দিয়েছে, তাদের ওয়েব সাইটে তাদের আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে, তা জানিয়ে দিতে হবে এবং মনোনয়নপত্র দাখিলের পরে অন্তত তিনবার বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রে এ সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করতে হবে।