পচা মাংস কাণ্ডের তদন্তে নতুন মোড়। মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে উদ্বৃত্ত পশুমাংস নিয়ে যাওয়া হত নিয়মিত। চিড়িয়াখানায় হানা দিয়ে এ তথ্য জানতে পেরেছেন পুরকর্মীরা। সম্প্রতি ভাগাড়ের পশুমাংস নিয়ে যে সব তথ্য সামনে আসছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আগাম খবর না দিয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানায় পরিদর্শনে যান পুরকর্মীরা। পরিদর্শনকারী দলের নেতৃত্বে ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ।
অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘চিড়িয়াখানায় প্রতিদিন এক একটি মাংশাসী পশুর জন্য সাত থেকে আট কিলোগ্রাম মাংস লাগে। তবে কিছু পরিমাণ মাংস প্রতিদিনই বেঁচে যায়। সল্ট লেকের এক বাসিন্দা সেগুলি মাছকে কাওয়ার জন্য নিয়ে যেতেন। আমরা ওই ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
চিড়িয়াখানার অধিকর্তা জানিয়েছেন, এখন আলিপুরে চল্লিশটি মাংশাসী প্রাণী রয়েছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কিলো মাংস বেঁচে য়ায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে কলকাতা পুলিশ নারকেলডাঙা এলাকার একটি হিমঘরে হানা দিয়ে পাঁচ টন পচা মাংস উদ্ধার করেছে। নদিয়া থেকে গ্রেফতার হওয়া শারাফত হোসেন এখানে পচা মাংস সরবরাহ করত বলে স্বীকার করেছে বলেছে জানিয়েছে পুলিশ। হিমঘরের মালিক বিশ্বনাথ ঘড়াই ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে।
তবে এসব পচা মাংস ঠিক কোথায় সরবরাহ করা হত, সে ব্যাপারে খোলসা করতে পারেনি পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিকের মতে, এগুলি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও হোটেলে সরবরাহ করা হত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে ঠিক কোন কোন জায়গায় এসব মাংস পৌঁছে যেত তা এখনও জানা যায়নি বলেই জানিয়েছেন ওই অফিসার।