কুষ্ঠ রোগের প্রকোপ বেশ কিছুদিন ধরেই বাড়ছিল বিহারে। সেখানকার রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের যৌথ উদ্যোগে প্রায় ২ কোটি মানুষকে নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু, তার আগেই বিহারের স্বাস্থ্য পরিষেবা দফতরের অতিরিক্ত ডিরেক্টর ডঃ বিজয় কুমার পাণ্ডে আশঙ্কা করছেন এ বছরে রাজ্য জুড়ে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াতে পারে ৫০ হাজার।
আশঙ্কা মিলে গেলে এটাই হবে রেকর্ড। এক বছরে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, এমন নজির নেই।
ডঃ পান্ডে জানিয়েছেন, "সমীক্ষায় যে তথ্য আমাদের কাছে জমা পড়েছে, তা থেকে আমরা প্রাথমিকভাবে ওই সংখ্যাটা অনুমান করে নিচ্ছি। সমস্তিপুর, মতিহারি, মুঙ্গেরে ১২ হাজার ৫০০ জন তফশিলি জাতির মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে ১২৫ জন নতুন রোগীকে খুঁজে পেয়েছি আমরা।"
আরও পড়ুন, আসাম ধারাবাহিক বিস্ফোরণ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত দইমারি
২০১৫-১৬ তে নতুন করে বিহারে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্তের হার ছিল ০.৭৯ শতাংশ। ১৬১৮৫জন নতুন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। ২০১৬-১৭ তে শতকরা হার বেড়ে দাঁড়ায় ১.১০। ২০১৭-১৮ তে ১.২৮ শতাংশ। ক্রমশ বাড়তে থাকা কুষ্ঠ রোগে আক্রান্তের সংখ্যার পেছনে কিছু সাধারণ কারণ দেখতে পাচ্ছেন চিকিৎসকরা। যেমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, একসঙ্গে বহু মানুষের এক ঘরে বসবাস, এক বিছানায় শোয়া ইত্যাদি।
পাটনা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে, নউবতপুরে কুস্থ রোগীদের নিয়ে কাজ করা এক অসরকারি সংগঠন আশা-র কর্মী সন্ধ্যা দেবী জানালেন, "গায়ের কোনও অংশে যদি এমন কোনও দাগ হয়, যা ছোঁয়াচে নয়, এবং যেখানে সূচ ফোটালেও কোনও অনুভূতি হয় না, তবে সেটা কুষ্ঠ রোগের লক্ষণ"।
কুষ্ঠ দূরীকরণ প্রকল্প (এনএলইপি) সত্ত্বেও কেন বাড়ছে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা, জানতে চাওয়া হলে পাণ্ডে বলেন, "আগের সমীক্ষা থেকে নিশ্চয়ই ২০ শতাংশ মানুষ বাদ পড়েছিলেন, এদের বেশির ভাগই তফশিলি জাতির সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।"
Read the full story in English