Republic day 2022: করোনার বেড়ে চলা সংক্রমণকে মাথায় রেখে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে দর্শক প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত করছে কেন্দ্র। মাত্র ৫-৮ হাজার দর্শক নিয়ে এবার আয়োজিত হবে প্রজাতন্ত্র দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই খবর। যদিও চলতি মাসের প্রথমে ২০-২৫ হাজার দর্শক নিয়ে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু দেশব্যাপী দৈনিক সংক্রমণ দুই লক্ষ পার করায় আরও নিয়ন্ত্রিত হতে চলেছে দর্শক প্রবেশ। এমনটাই জানা গিয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক কর্তার মন্তব্য, ‘২০২০ সালে প্রায় দেড় লক্ষ দর্শক জমায়েত করেছিলেন রেড রোডে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে অর্থাৎ ২০২১-এ এই জমায়েত কমে দাঁড়িয়েছিল ২৫ হাজার। এবার আরও কমছে দর্শক সমাগম।‘
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য কমানো হয়েছে দর্শক প্রবেশ। গত বছর ২৫ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান হয়েছিলেন। চলতি বছর আরও কমানো হবে দর্শক উপস্থিতি। বাকিদের দূর থেকে এই অনুষ্ঠান দেখতে হবে। আমরা কোনওভাবেই প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানকে সুপার স্প্রেডার করতে চাই না।
জানা গিয়েছে চলতি বছর অনলাইনেই এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এদিকে, দেশজুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচিতে গতি এসেছে। ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ চলছে। এছাড়াও গত ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে করোনার বুস্টার ডোজের প্রয়োগ। টিকাকরণে গতির জেরেই সংক্রমণে কিছুটা হলেও লাগাম পরানো সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৮ হাজার। গতকালের চেয়ে এই পরিসংখ্যান ২০ হাজার কম। এই মুহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৭ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬২৮। দেশে করেনায় সুস্থতার হার ৯৪.০৯ শতাংশ। গতকালের চেয়ে এদিন বেশ কিছুটা বেড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে বর্তমানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮ হাজার ৮৯১।
রাজ্যে রাজ্যে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ, অভিনেতা-সহ সমাজের বিশিষ্টরাও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা চন্দ্রবাবু নাইডুও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাঁর উপসর্গ মৃদু। বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি।
এদিকে, NTAGI-এর কোভিড -১৯ ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান ডক্টর এন কে অরোরা বলেছেন, ”ভারত মার্চ মাস থেকে ১২-১৪ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করতে পারে। কারণ ততদিনের মধ্যে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের সম্পূর্ণরূপে টিকা পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন