জম্মু-কাশ্মীরে পুলিশের বিরাট সাফল্য। উপত্যকায় উত্তরপ্রদেশের ২ শ্রমিককে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসবাদীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানে লস্কর-ই-তৈয়বার ‘হাইব্রিড সন্ত্রাসবাদী’ ইমরান বশির নিহত হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২ শ্রমিককে হত্যার ঘটনার জড়িত ছিল এই লস্কর জঙ্গি। আরও জঙ্গির খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নওয়াগাম এলাকায় পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন লস্কর জঙ্গি ইমরান বশির। শোপিয়ানে কয়েকদিন আগে এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই স্থানের খুব কাছেই এদিনের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় কুখ্যাত এই লস্কর জঙ্গির।
বুধবার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, “লস্কর জঙ্গি ইমরান বশির সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে গুলির যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নথিপত্রের সঙ্গে বিপুল পরিমাণে অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে।
গ্রেনেড হামলায় উত্তরপ্রদেশের কনৌজ এলাকায় বসবাসকারী ২ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর পরই চিরুনি তল্লাশি শুরু করে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। সেই সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে খুনের মাস্টার মাইন্ড ইমরান বশির । তার কাছ থেকে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের বিষয়ে আরও কিছু তথ্য পায় পুলিশ। এদিন বশিরকে নিয়েই জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশের বিশেষে বাহিনী। জঙ্গি-পুলিশের গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান তিনি।
আরও পড়ুন : < হাজার দিনেরও বেশি জেলমুক্ত ছিলেন বিলকিসের ধর্ষকরা! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল >
উপত্যকায় প্রতিনিয়ত সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করছে সন্ত্রাসবাদীরা। এর আগেও পরিযায়ী শ্রমিকদের হত্যা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হত্যা করা হচ্ছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদেরও। উত্তরপ্রদেশের ২ শ্রমিক খুনের পর পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রেফতার করা হয় লস্করের হাইব্রিড সন্ত্রাসী ইমরান বশিরকে। তাকে নিয়েই জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয় বশিরের। গত কয়েকদিনে সন্ত্রাসীরা তাদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও আতঙ্ক ছড়ানোর অভিপ্রায়ে উপত্যকায় টার্গেট কিলিং চালাচ্ছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গিদের খোঁজে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছেন।