কাশ্মীর আছে কাশ্মীরেই। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর উন্নয়নের ডালি হাতে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাশ্মীর সফরের দিনই বিকেলে উপত্যকার পুলওয়ামা সাক্ষী রইল রক্ষী-জঙ্গি সংঘর্ষের। গত ২৪ ঘণ্টায় এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দক্ষিণ কাশ্মীর এমন সংঘর্ষের সাক্ষী হল। রবিবার ভোরেই রাতভর গুলিযুদ্ধের পর দুই জঙ্গি কুলগামে মারা যায়। আর, এবার তিন লস্কর জঙ্গি গুলিযুদ্ধে মারা গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলওয়ামার পাহু গ্রাম ঘিরে ফেলে সেনা, আধাসামরিক বাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথবাহিনী। জওয়ানদের দেখতে পেয়েই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। জবাব দেন যৌথবাহিনীর জওয়ানরাও। টানা গুলিযুদ্ধ চলার পর তিন জঙ্গি মারা যায়।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ টুইটে জানিয়েছে, মৃত জঙ্গিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলের আশপাশে আরও কোনও জঙ্গি লুকিয়ে আছে কি না, তা জানতে জোরকদমে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এর আগে এভাবেই শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার মিরহামা গ্রাম যৌথবাহিনী ঘিরে ফেলেছিল। গুলিযুদ্ধে মারা গিয়েছিল দুই জঙ্গি। মৃতরা জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম)-এর সদস্য। তারা পাকিস্তানের নাগরিক বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে কাশ্মীর পুলিশ। ওই জঙ্গিরা গত চার বছর ধরে সোপিয়ান-কুলগাম এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছিল।
আরও পড়ুন- ভারতে চিনের নাগরিকদের পর্যটক ভিসা বাতিল, ২০ এপ্রিল থেকে নির্দেশ কার্যকর
পুলিশ জানতে পেরেছে, সোপিয়ানে মৃত জঙ্গিরা হল সুলতান পাঠান ও জাবিউল্লাহ। মৃত জঙ্গিদের থেকে দু'টি একে-৪৭ রাইফলে উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। সম্প্রতি কাশ্মীরে সন্ত্রাস চালানোর দায়িত্ব কট্টর জঙ্গি মুস্তাক আহমেদ জারগারের হাতে তুলে দিয়েছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যার খলনায়ক ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সইদের কন্যার অপহরণকারী মুস্তাক আহমেদ জারগার।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরাবাদে বসে এই কুখ্যাত অপরাধী কাশ্মীরের যুবকদের প্ররোচিত করছে। পাশাপাশি, উপত্যকায় অশান্তি ছড়াতে সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিদের পাঠাচ্ছে। তার জেরে মাসখানেক ধরেই কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। পালটা, জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে সন্ত্রাস দমনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে যৌথবাহিনীও।
Read story in English