ভারত থেকে বিদায় নিচ্ছেন চিনা রাষ্ট্রদূত সান ওয়েইডং। মঙ্গলবার চিনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা বিদায়ী ভাষণে সান জানিয়েছেন, ভারত ও চিনের একে অপরের রাজনৈতিক পদ্ধতিকে সম্মান করা উচিত এবং দুই দেশেরই একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো উচিত নয়।
সান আরও বলেছেন, "চিন এবং ভারত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। তাই চিন এবং ভারতের কিছু পার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। মূল বিষয় হল এই পার্থক্যগুলি কীভাবে সামলানো যায়। আমাদের সচেতন থাকতে হবে যে দুই দেশের স্বার্থ পার্থক্যের থেকে অনেক বেশি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের উচিত একে অপরের রাজনৈতিক পদ্ধতিকে সম্মান জানানো। একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে নীতিবোধকে তুলে ধরা।"
এদিন তিনি চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন। দুই দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সমন্বয় নিয়েও বলেছেন সান। বলেছেন, "চিন ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ভিসা আবেদন আরও সহজ করেছে। পড়ুয়াদের জন্য ভিসা আবেদন নেওয়া শুরু করেছে। অন্য কারণেও এখন চিনে যাওয়ার জন্য নাগরিকদের ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে।"
আরও পড়ুন ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাই মূল লক্ষ্য’, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণে বললেন ঋষি সুনাক
এখনও পর্যন্ত ১৮০০ ভারতীয় পড়ুয়াকে ভিসা দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে আরও যাতায়াত বাড়বে।
সম্প্রতি শেষ হয়েছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম জাতীয় কংগ্রেস। সান বলেছেন, "এই সম্মেলনে দলের নীতি সঠিক ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কোন দিশায় দল এগোবে সেটাও নির্ধারণ হয়েছে। কোন লক্ষ্য কী ভাবে পূরণ করা হবে সেটাও নির্দিষ্ট হয়েছে। কমরেড শি জিনপিং ফের দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। দেশের ইতিহাস এবং জনগণের আশাপূরণের লক্ষ্যে এটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।"