Advertisment

পরকীয়ার জেরে ‘স্পার্ম ডোনেট’, কোর্ট মার্শালে দোষী সাব্যস্ত সেনা আধিকারিক

চলতি বছরের ১১ এপ্রিল ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল প্রক্রিয়া শুরু হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
woman clerk, colonel affair with woman clerk, court-martialled news, Indian military news, military news Indian Express"

অবৈধ সম্পর্কে মহিলাকে ‘স্পার্ম ডোনেট’, কোর্ট মার্শালে দোষী সাব্যস্ত সেনা আধিকারিক

দেরাদুন ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি (আইএমএ)তে পোস্টিং থাকাকালীন লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার এক সেনাকর্তার সঙ্গে মহিলা ক্লার্কের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ওই মহিলা ক্লার্ককে তিনি শুক্রাণু দান করেছেন বলে অভিযোগ করেন ওই মহিলা। এরপরই ওই সেনা আধিকারিককে সেনাবাহিনীর কোর্ট মার্শালের মুখে পড়তে হয়।

Advertisment

চলতি বছরের ১১ এপ্রিল লেফটেন্যান্ট কর্নেলের বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল শুরু হয়। বুধবার অর্থাৎ ৭ জুন, কোর্ট মার্শাল সম্পন্ন হয় যেখানে অফিসার তার বিরুদ্ধে অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন এবং সাজাও ঘোষণা করা হয়। কোর্ট-মার্শালের সময় অভিযোগের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর, অফিসারকে কঠোরভাবে ভর্ৎসনা করা হয় এবং তাকে তার পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তিন বছরের জন্য তার পদন্নোতিও বাতিল করা হয়। লেফটেন্যান্ট কর্নেল আর্মি এডুকেশন কর্পসে নিযুক্ত ছিলেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে অনুসারে ৭ জুন কোর্ট মার্শালের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং এই সময়ের মধ্যে অফিসার তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করেছেন। এরপর ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ঘটনার সময় ওই আধিকারিক দেরাদুনের আইএমএ-তে পোস্টিং ছিলেন। অফিসার আইএমএ-তে কর্মরত একজন মহিলা ক্লার্কের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল, যিনি পরে কর্পস অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের এক সার্জেন্টকে বিয়ে করেছিলেন। লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিজে বিবাহিত এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে।

কোর্ট মার্শালের সময়, জানা গিয়েছে ওই সেনা আধিকারিক মহিলার IVF ট্রিটমেন্টের সময় মহিলার সঙ্গে বেশ কয়েকবার ছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি তার তার শুক্রাণুও দান করেছিলেন। আইএমএ-র বাইরে অফিসারকে পোস্টিং করা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। মহিলা কেরানির কাছ থেকে দূরে চলে যাওয়ার পরে, অফিসার তার সঙ্গে সমস্ত রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এরপর ওই মহিলা অফিসারের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ করতে শুরু করেন।

এরপর ওই মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং পরে সেনা কর্মকর্তাদের ঘটনাটি জানান। এরপর চলতি বছরের ১১ এপ্রিল ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল প্রক্রিয়া শুরু হয়। কোর্ট মার্শালের সময় অফিসারকে আত্মপক্ষ সমর্থনের পূর্ণ সুযোগও দেওয়া হয়। মহিলার দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, ফোন রেকর্ডিংয়ের মতো প্রমাণের পরে দোষী সেনা কর্মকর্তাকে সব অভিযোগেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

Indian army
Advertisment