করোনারোধে ভরসা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ। দেশে ভয়ঙ্কর এই ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধির পেলে ম্যালেরিয়ার এই প্রতিষেধকের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মোদী সরকার। মঙ্গলবার অবশ্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বজায় রাখার কথা বলে ভারত ওই ওষুধ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এর আগে রবিবারই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে এই ওষুধ রফতানির আর্জি জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারত সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করায় প্রতিশোধের হুমকি দেন ট্রাম্প। এরপরই টুইটে ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে মোদীকে বার্তা দেন রাহুল। রফতানির আগে দেশবাসীর জন্য যাতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পর্যাপ্ত পরিমানে মজুত থাকে তা নিশ্চিত করার দাবি করেছেন কংগ্রেস সাংসদ।
এদিন টুইটে ইংরেজি ও হিন্দিতে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, 'বন্ধুত্ব কখনও চাপ সৃষ্টি করতে সেখায় না। ভারতের উচিৎ যেই সব দেশের ওষুধের প্রয়োজন তাদের সাহায্য করা। এটা খুব কঠিন সময়। তবে তার আগে ভারতীয়দের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রাখার পর সেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ।'
প্রসঙ্গত, সোমবার করোনা ভাইরাস টাস্কফোর্স ব্রিফিংয়ের সময় হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, 'ভারত আমেরিকার সঙ্গে খুব ভাল ব্যবহারই করছে এবং আমি এমন কোনও কারণ দেখতে পাচ্ছি না যে আমেরিকায় ওষুধের রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। আমি রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি বলেছি যে আপনি যদি আমাদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সরবরাহ করেন তবে আমরা এই পদক্ষেপকে সম্মান করব। যদি তা না করেন তবেও আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু হ্যাঁ, জেনে রাখবেন আমরাও এর প্রতিশোধ নেব।'
আরও পড়ুন- আমেরিকাকে করোনার ওষুধ পাঠাচ্ছে ভারত
এরপরই ভারত ওষুধ রফতানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয় মোদী সরকার। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, 'মহামারীর প্রভাব দেখে ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বজায় রাখবে ভারত। করোনা ভাইরাস রোধে প্রয়োজনীয় ওষুধ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলিকে সরবরাহ করা হবে। মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ভারত নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বেশ কিছু প্রতিবেশী দেশে উপযুক্ত পরিমাণে প্যারাসিটামল এবং হাইড্রোক্সিক্লোরোক্যুইন সরবরাহ করবে।'
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন