সবে তখন রাত ৯টা। সদ্য রাতের খাবার খেয়ে স্বামী, সন্তানের সঙ্গে বাড়ির উঠানে বসে গল্প জমিয়েছিলেন গৃহিণী। হঠাৎ করেই ছাদে নানা রকম আওয়াজ! প্রথমটাই সেভাবে আমল না দিলেও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সে শব্দ! স্বামী লালজিকে সেকথা জানান তিনি। টর্চ মারতেই চোখ কপালে, ছাদে বসে রয়েছেন পশুরাজ। কী করবেন ভেবে উঠতে পারেননা। উঠানে খাটিয়াতে তখন খেলা করছে তাদের দুই সন্তান-রিয়া ও হিমানি । একজনের বয়স ৬, অন্যজন ৩। চোখের সামনে বিপদ আঁচ করেন তিনি। কস্মিন কালেও লালজি কল্পনা করতে পারেনি তাকে বাড়ির ছাদে এক সিংহের হামাগুড়ি দেখতে হবে। ঘটনাটি গুজরাটের গির সোমনাথ জেলায়।
সিংহকে চোখের সামনে দেখে চিৎকার করে গ্রামবাসীদের ডাকেন লালজি। গ্রামবাসীরা মুহুর্তেই চলে আসেন। এমন দৃশ্য থেকে সকলেই থ। প্রায় আধঘণ্টা ধরে ছাদে দাপাদাপির পর বনবিভাগের আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়। যসাধর রেঞ্জের বন কর্মকর্তা লাখা ভারওয়াদ বলেছেন, "আমাদের কর্মীরা পরিস্থিতি ভালভাবে সামাল দিয়েছে। গ্রামবাসীদের মশাল না কোনরকম আগুন জ্বালাতেও না করা হয়। তারাও বনবিভাগের কর্মীদের সাহায্য করেন"। তিনি বলেন, "গ্রামের পিছনে হাইস্কুল! তার ঠিক পিছনেই ফাঁকা জঙ্গল। সেই দিক থেকেই সিংহটি বাড়ির ছাদে আসে বলে আমাদের অনুমান"। রাজদীপসিংহ ঝালা ডেপুটি ফরেস্ট আধিকারিক বলেন, "ঘটনার খবর পেয়েই আমাদের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং সুন্দরভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সিংহটিকে তাড়িয়ে বনাঞ্চলে পাঠানো হয়েছে"।
এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে লালজি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, " সবে খেয়ে উঠে উঠানে বউ বাচ্চাদের সঙ্গে একটু গল্প করতে বসেছিলাম। ছাদে আওইয়াজ পেয়ে টর্চ নিইয়ে এগোতেই চোখের সামনে সিংহকে দেখে ভয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। চিৎকার করে গ্রামবাসীদের ডাকি। ওরাই এসে বন বিভাগের কর্মীদের খবর দেয়। বরাত জেরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছি"।
Read full story in English