কাঁবর যাত্রাপথে মদ ও মাংসের দোকান ১৪ জুলাই থেকে বন্ধ থাকবে। কড়া নির্দেশ দিল যোগী প্রশাসন। গৌতম বুদ্ধনগরের জেলাশাসক সুহাস এলওয়াইয়ের নেতৃত্বে ইদ, শিবের উৎসব এবং কাঁবর যাত্রার প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে 8 জুলাই। সেই বৈঠকে যাত্রাপথে মদ ও মাংসের দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে জেলাশাসক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কাঁবর যাত্রাপথে মদ ও মাংসের দোকান চালানো অনুচিত। আর, সেটা যাতে না-হয়, তা বিভাগীয় আধিকারিকদেরই নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হতে চলেছে কাঁবর যাত্রা। যাত্রাপথের নিরাপত্তায় কড়া নজর থাকবে পুলিশ আধিকারিকদের। সঙ্গে যাতে পুণ্যার্থীদের কোনও হয়রানি না-হয়, তা নিশ্চিত করতে মাইকে লাগাতার প্রচার চলবে। যাত্রাপথের বিভিন্ন জায়গায় সন্দেহভাজনদের পরীক্ষা করা হবে। পাশাপাশি, থাকবে প্রশাসনের সহায়তা বুথ। যেখান থেকে নানাভাবে সাহায্য পাবেন তীর্থযাত্রীরা।
নয়ডা পুলিশ জানিয়েছে যে তীর্থযাত্রীরা এই অঞ্চলের একাধিক পথ ব্যবহার করবে বলেই তাঁরা আশা করছেন। নয়ডার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রণবিজয় সিং বলেন, ' যে সব পথ দিয়ে তীর্থযাত্রীরা যাবেন, তার একটি প্রধান পথ শুরু হবে গাজিয়াবাদ থেকে। যেখানে যাত্রীরা চিল্লা সীমান্ত দিয়ে নয়ডায় প্রবেশ করবেন। এছাড়াও আছে যমুনা বরাবর একটি পুরনো ঐতিহ্যবাহী পথ। যাঁরা হরিদ্বার থেকে আসছেন এবং রাজস্থান ও হরিয়ানায় যাচ্ছেন, তাঁরা ওই পথই ব্যবহার করেন। যাত্রীরা শনি মন্দিরে এবং পাকশি বিহারের বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকবেন। ওখলা বাঁধের সেতুর ওপর দিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করবেন। এই সব পরিকল্পনা মাথায় রেখে পুরো যাত্রাপথ স্যানিটাইজড করা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন- ২১ জুলাই ফের সনিয়াকে তলব ইডি-র, যাবেন কি কংগ্রেস সভানেত্রী?
আরেকটি পথ সেক্টর ৬৩ ঘুরে গিয়েছে। সেখান দিয়েও যাত্রীরা নয়ডায় প্রবেশ করতে পারবেন। আসতে পারবেন মহামায়া সেতুতে। ওখলা সেতুবাঁধ দিয়ে তাঁরা এগিয়ে যাবেন। বাইক এবং ট্রাকের মতো বাহনে যাতায়াতকারীদের জন্য এই পথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে প্রশাসন। সেকথা মাথায় রেখে ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং নজরদারি নিশ্চিত করা হয়েছে বলেই যোগী প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
Read full story in English