Advertisment

লকডাউন ৪.০: কী কী বদলে গেল?

ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুসারে রবিবার দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা চিনকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখন দেশে আক্রান্ত ৯০,৯২৭, মৃত ২৮৭২।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
lockdown 4.0 new rules

চতুর্থ দফার লকডাউনে বদলে গেল অনেক কিছুই

১৮ মে থেকে চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউন শুরু হচ্ছে। এবারের লকডাউনে বেশ কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। এর মধ্যে আন্তঃরাজ্য যাত্রীবাহী বাস চলাচল যেমন রয়েছে তেমন স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও স্টেডিয়ামও খুলবে। আবার এই পর্যায়ে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকবে, বন্ধ থাকবে সিনেমাহল শপিং মলও।

Advertisment

গত ২৫ মার্চ প্রথম পর্যায়ের ২১ দিনের লকডাউন চালু হয়েছিল। পরে তা ১৫ এপ্রিল ও ৪ মে-তে আরও বাড়ানো হয়। ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুসারে রবিবার দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা চিনকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখন দেশে আক্রান্ত ৯০,৯২৭, মৃত ২৮৭২।

লকডাউন ৪.০- কী কী নিয়ম বদলাল

#আন্তঃরাজ্য যাত্রীবাহী গাড়ি ও বাস দুই রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সহমতের ভিত্তিতেতে চলাচল করবে। রাজ্যের মধ্যে বাস চলাচলের বিষয়টি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল স্থির করবে।

লকডাউন ৪.০- কী করবেন, কী পারবেন না

#আরোগ্যসেতু অ্যাপের ব্যাপারে নির্দেশিকা অনেক শিথিল হয়েছে। আগের গাইডলাইনে কোনও অফিসে কর্মচারীদের এই অ্যাপ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল এবং তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল নিয়োগকারীর উপর। নতুন নির্দেশিকায় এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টার কথা বলা হয়েছে।

#সোমবার থেকে কনটেনমেন্ট জোন বা মল ছাড়া সর্বত্র সমস্ত দোকান খুলতে পারবে।

#স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও স্টেডিয়ামও খোলা যাবে, তবে দর্শক প্রবেশ নিষিদ্ধ।

# ই কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবার থেকে রেড জোনেও অত্যাবশ্যকীয় ছাড়া অন্যান্য পণ্যও ডেলিভারি করতে পারবে, এরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে এই অনুমতি এতদিন লাগুই ছিল।

#জেলা কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে যাঁদের ফোনে সুযোগ রয়েছে তাঁদের যেন আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয় এবং অ্যাপে নিয়মিত হেলথ স্ট্যাটাস আপডেট করতে বলা হয়।

# কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া প্যারামিটার বিবেচনা করে এবার থেকে রেড, গ্রিন বা অরেঞ্জ জোন নির্দিষ্ট করতে পারবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।

*চার চাকার গাড়িতে চালক ছাড়া দুজন যাত্রী চড়তে পারবেন, দ্বিচক্রযানে দ্বিতীয় কেউ উঠতে পারবেন না।

*শহরাঞ্চলে শিল্প সংস্থা- বিশেষ আর্থিক এলাকা, রফতানি নির্ভর ইউনিট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট ও টাউনশিপে নিয়ন্ত্রিত কার্যকলাপ চালানো যাবে।

*ওষুধ, ফার্মাসিউটিক্যালস, মেডিক্যাল দ্রব্য, এগুলির কাঁচা মাল, প্রোডাকশন ইউনিট ইত্যাদি যাদের ক্রমান্বিত প্রক্রিয়া প্রয়োজন এবং জোগান শৃঙ্খল দরকার, তাদের উৎপাদন ক্ষেত্র, তথ্যপ্রযুক্তি হার্ডওয়ারের উৎপাদন, চটশিল্পে, শিথিল শিফট মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা যেতে পারে।

অতিমারীর সময়ে রিলিফের নামে বেসরকারিকরণের পথে চলছে সরকার, অভিযোগ বিরোধীদের

*শহরাঞ্চলে সীমিত ভাবে নির্মাণ কাজ চালু করা যাবে যেখানে বাইরে থেকে শ্রমিক আনতে হবে না এরকম ক্ষেত্রে।

*শহরাঞ্চলে মল ছাড়া সমস্ত দোকান বাজার ও মার্কেট কমপ্লেক্সে অনাত্যবশ্যকীয় পণ্য বিক্রি করা যাবে।

*গ্রামীণ এলাকায় ইটভাটা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও মনরেগার কাজ শুরু করা যাবে।

*গ্রামীণ এলাকায় মল ছাড়া সব দোকান খোলা যাবে।

*সমস্ত কৃষিকাজ চালু করা যাবে।

*মাছ ধরা থেকে শুরু করে পশুপালন সমস্ত কাজ করা যাবে।

*আয়ুষসহ সমস্ত রকম স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করা যাবে, যার মধ্যে চিকিৎসাকর্মীদের যাতায়াত ও এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে রোগীর যাতায়াত পড়বে।

*ব্যাঙ্ক, নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক ক্ষেত্র, ইনশিওরেন্স, ক্রেডিট কোঅপারেটিভ সোসাইট পুরোদমে চালু করা যাবে।

*শিশু, প্রবীণ নাগরিক, ভবঘুরে, মহিলা ও বিধবাদের হোম চালু করা যাবে

*অঙ্গনওয়াড়ির কাজ চলবে

*ক্যুরিয়ার ও ডাকবিভাগ চলবে।

বেসরকারি অফিসে ৩৩ শতাশ কর্মী কাজে আসতে পারবেন, বাকিদের বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে।

*শহরাঞ্চলের সমস্ত স্ট্যান্ডঅ্যালোন দোকান, পাড়ার দোকান ও রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সের মধ্যের দোকান চালু করা যাবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Lockdown
Advertisment