আরও ১৫ দিন বাড়তে পারে লকডাউনের মেয়াদ।
দেশে করোনা সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে। সংক্রমণ রোধে তাই পঞ্চম দফার লকডাউনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ৩১ মে পর্যন্ত চতুর্থদফার লকডাউন জারি রয়েছে। তারপরে কী কৌশলে সংক্রমণ রোধ সম্ভব, তা নিয়ে বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীদের জানাতে বলা হয়েছে।
লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, 'অমিত শাহের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। লকডাউন আরও ১৫ দিন বাড়ানো হতে পারে।'
মার্চে প্রথম দফার লকডাউনে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন সব পণ্যের দোকান , কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছিল। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া প্রকাশ্যে মানুষের চলাফেরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পর্যায়ক্রমে অবশ্য শিথিল হয় বিধি-নিষেধ। পঞ্চম দফায় লকডাউন বিধি কেমন হতে পারে? তারই আগাম আভাস মিলেছে...
উড়ান পরিষেবা:
পঞ্চম দফার লকডাউনে উড়ান পরিষেবার রুট বৃদ্ধি করা হতে পারে। বর্তমানে যাত্রী চাহিদার উপর ভিত্তি করে দেশের যেকোনও বিমানবন্দরে উড়ান পৌছতে পারে। পুরো বিষযটিই নির্ভর করছে বিমান সংস্থাগুলোর উপর। গত সপ্তাহে দেখা গিয়েছে, মেট্রো শহরগুলোর তুলনায তুলনামূলক ছোট শহরে ফেরার জন্য যাত্রীদের চাহিদা বেশি ছিল।
বর্তমানে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে উড়ানের মোট বহন ক্ষমতার এক তৃতীয়াংশ নিয়ে পরিষেবা সচল রাকা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে আন্তর্জাতিক পরিষেবার আগামী অগাস্টের আগেই কিছুটা স্বাভাবিক করার কথা জানিয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হদীপ সিং পুরী।
ট্রেন পরিষেবা:
লকডাউনে ভিন রাজ্যে বহু পরিযায়ী শ্রমিক আটকে পড়েছিলেন। তাদের ঘরে ফেরাতে ইতিমধ্যেই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল। ২৮ মে পর্যন্ত ৩,৭৩৬ শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে প্রায় ৫০ লক্, পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরেছে। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ যাত্রীই মহারাষ্ট্র, গুজরাট থেকে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে গিয়েছেন।
১লা জুন থেকে রেল ১০০ জোড়া মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর কথা বলেছে। এর জন্য টিকিট বুকিংও শুরু হয়ে গিয়েছে। এরপর এসি ক্লাস পরিষেবা দেওয়ার বাবনা রয়েছে রেলের।
আন্তঃরাজ্য বাস-মেট্রো পরিষেবা:
ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ইতিমধ্যেই আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা চালু করেছে। তবে বেশিরভাগ রাজ্যই জুনের শুরু থেকে এই পরিষেবা চালু করবে। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে, কম যাত্রী নিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে মেট্রো পরিষেবায় ছাড়পত্র মিলতে পারে।
দোকান, বাজার মল:
চতুর্থ লকডাউনেই আবশ্যিক নয়, এমন সব পণ্যের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পঞ্চম দফার বাজার সহ বেশিরবাগ জিনিসের দোকা খোলার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। তবে শপিং মল প্রসহ্গে এখনও কিছু জানা যায়নি। একাধিক বাজার এলাকায় জোর-বিজোর রীতি মেনে দোকান খুলেছে।
জিম, সিনেমা হল, ধর্মীয় স্থান, সালোন:
করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি উর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে জিম, সিনেমা হল, ধর্মীয় স্থান, সালোন খোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি অব্যাহত থাকতে পারে। বহু শহরে বিউটি পার্লার খোলায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে, সামাজিক দূরত্ব-বিধি, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম সহ গাইডলাইন কঠোরভাবে মানতে বলা হয়েছে। তবে কনটেনমেন্ট অঞ্চলে এসবের ছাড়পত্র নেই।
স্কুল:
কবে ফের স্কুল চালু হবে? কেন্দ্রীয মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আগেই জানিয়েছিল যে, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা প্রথমে স্কুলে যাবে। এক্ষেত্রে পড়ুয়াদের মাস্ক ব্যবহার আবশ্যিক। মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব-বিধি। শ্রেণিকক্ষগুলোকে প্রায়ই জীবাণিমুক্ত করেত হবে। সকালে প্রার্থনায় নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। সিবিএসই বোর্ড ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, জুলাইয়ের প্রথম দু'সপ্তাহে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা হবে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন