চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ। সোমবার থেকে দেশে শুরু হচ্ছে লকডাউনের পঞ্চম পর্যায়। দেশে প্রতিদিন রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত হলেও অর্থনীতি হাল ফেরাতে বদ্ধ পরিকর দেশে আরও শিথিল করা হল লকডাউন নিয়ম। এতদিন বন্ধ থাকা রেস্তোরাঁ, শপিং মল খোলা যাবে কি না সে বিষয়ে রাজ্যগুলিকেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র, এমনটাই জানতে পেরেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরামর্শ মেনে রাতের কার্ফুর সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে। সরকারি আধিকারিক বলেন, "ঠিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে রাতের কার্ফুর সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে সেটা নয়। যদি সন্ধ্যে ৭টার বদলে ৯টা পর্যন্ত হয় তাহলে তো ক্ষতি কিছু হবে না।" তবে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করে কনটেনমেন্ট জোনে এখনও জারি থাকবে কঠোর নিয়ম। আধিকারিক বলেন, "যে যে শহরে এখনও কোভিড-১৯ ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়াচ্ছে সেরকম ১৩টি শহরে জারি থাকবে লকডাউনের কঠোর বিধি।"
আধিকারিক এও জানিয়েছেন যে নতুন যে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে ধর্মীয় স্থানগুলি খোলার কথা বলা হলেও সেখানে কোনওরকম সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যাবে না। অন্যদিকে আন্তঃরাজ্য পরিবহনে কেন্দ্রের তরফে অনুমতি মিললেও, শেষ অনুমতি দেবে রাজ্যই। কারণ কোন রাজ্যে কী পরিস্থিতি সেই দিকটি বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেবে সে রাজ্যের সরকার। কোনও বিকল্প পরিকল্পনা রাখা যায় কি না সে বিষয়টি রাজ্যগুলি নিজেরা কথা বলে ঠিক করে নেবে এমনটাই জানান হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
আরও পড়ুন, লকডাউন ৫.০: কীসে ছাড়, কীসে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা?
তবে মেট্রো চালু হওয়ার ক্ষেত্রে এখনও নিষেধাজ্ঞা জারি। যেহেতু বদ্ধ জায়গা সেখানে অনেকটাই তাই সংক্রমণের সম্ভাবনা সেখানে অনেকটাই বেশি। তবে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে, কম যাত্রী নিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে মেট্রো পরিষেবায় ছাড়পত্র মিলতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সব মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আগামীতে কী করা যাবে তা নিয়ে আলোচনাও করেছেন। কীভাবে লকডাউনের পরবর্তী পর্যায়ে নিয়মে শিথিলতা এনে অর্থনীতিকে ফেরানো যায় সে বিষয়েও তাঁদের পরামর্শ নিয়েছেন।"
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন