দেশের করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। রাজ্যে-রাজ্যে ফি দিন বহু মানুষ করোনায় কাবু হচ্ছেন। মহারাষ্ট্রেও উদ্বেগ জিইয়ে রেখেছে করোনা। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো ওমিক্রন ঘুম কাড়ছে রাজ্য সরকারের। তবে পরিস্থিতি এখনও নাগালের বাইরে যায়নি বলেই মনে করেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ''রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনই লকডাউনের পরিকল্পনা নেই। এখনই রাজ্যের মানুষকে চূড়ান্ত কড়াকড়ির মধ্যে আমরা ফেলতে চাই না।''
তবে রাজ্যের দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা ৮০০ মেট্রিক টনের কাছে পৌঁছলে লকডাউন কার্যকর করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে বলেো তিনি জনিয়েছেন।
এখনও দেশের একাধিক রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক জায়গায় রয়েছে। মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে যেদিন এই বিবৃতি দেন, ঠিক তার আগের দিনই প্রায় দেড় হাজার মানুষ নতুন করে রাজ্যে করোনায় কাবু হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১১০। বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। গত পাঁচদিন ধরে মুম্বইয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
আরও পড়ুন- ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫-১৮ বছর বয়সিদের দেওয়া হবে টিকা, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
সংক্রমণে লাগাম টানতে নতুন করে বেশ কিছু বিধি নিষেধ জারি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পাবলিক প্লেসে একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি জামায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
করোনরা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতেই এই উদ্যোগ প্রশাসনের। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে বলেন, ''রাজ্যের দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা ৮০০ মেট্রিক টনের কাছে পৌঁছলে তবেই লকডাউন কার্যকর করা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'' তবে বর্তমানে মহারাষ্ট্রে প্রতিদিন কত পরিমাণ অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে, সে ব্যাপারে কিছু জানাননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী।