Covid Tourism: ১৪৪ ধারার চোখ রাঙানির মধ্যে পর্যটক ভিড়ে হিমশিম খাচ্ছে লোনাভেলা আর খান্ডালা। মহারাষ্ট্রের জনপ্রিয় পর্যটকস্থলগুলোর মধ্যে একদম প্রথমসারিতে পাহাড় ঘেরা লোনাভেলা এবং খান্ডালা। বিশেহ মুম্বাই, পুনে এবং নাসিক, এই তিন শহর থেকে দলে দলে পর্যটক ভিড় করে এই দুই জায়গায়। এখন করোনা অতিমারী সঙ্গে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে তৃতীয় ঢেউয়ের চোখ রাঙানি। তাই লোনাভালা এবং খান্ডালা প্রবেশে কিছু বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। সেই নিষেধ উড়িয়েই সপ্তাহের শেষ দুই দিন ভিড়ে ঠাসা এই দুই পর্যটকস্থল। যদিও পর্যটন মরশুমে সেই বিধিনিষেধ তুলতে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে স্থানীয় পুরসভা।
যেহেতু এই দুই পর্যটনস্থলের অর্থনীতি পর্যটক নির্ভর। আর সামনেই উৎসবের মরশুম। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সুরাহা দিতেই এই উদ্যোগ। তবে সংক্রমণ উদ্বেগের মধ্যেই গত দুই দিনে চোখে পড়ার মতো ভিড় লোনাভালা-খান্ডালায়। পর্যটকদের জমায়েত এত বেশি ছিল যে এই পর্যটকস্থল থেকে পুনে ও মুম্বাইমুখী দুটি রাস্তায় গাড়ির ঢল নেমেছিল। বর্ষা উপভোগে হোটেলগুলোও ছিল হাউসফুল। যদিও এই দুই পর্যটকস্থলে অন্যতম আকর্ষণ সানসেট পয়েন্ট, দুর্গ, জলাধার এবং জলপ্রপাতের ধারকাছে পর্যটকদের ঘেঁষতে দেয়নি পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় থানার আধিকারিক দিলীপ পাওয়ার বলেছেন, ‘শুক্রবার পর্যটকদের জমায়েত বেশি ছিল। যদিও শনিবার একটু কমেছে পর্যটকদের আনাগোনা। রবিবার যেহেতু ছুটির দিন তাই আমাদের নজরদারি বাড়বে।‘ তিনি আরও জানান, এই দুই পর্যটকস্থলে পর্যটকদের আনাগোনায় কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে জলপ্রপাত ও জলাধারের এক কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে। বিকেল ৪টের পরেও খুলছে কিছু দোকান-বাজার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন