রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগে ১০ বছর জেলে পাঠানোর মারাত্মক অভিযোগ। পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ এনেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খান। শুক্রবারই (১২ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। এরপর তিনি দাবি করেছেন, সোমবার থেকে (১৫ মে) তাকে ফের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হবে।
তিনি আরও দাবি করেন, জেলে থাকাকালীন রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে পাক সেনা তাকে ১০ বছরের জন্য কারাবন্দী করে রাখতে চাইছে। এর পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন যে পরবর্তীতে পিটিআই পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হবে।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবার দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেই বড় সড় অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তাকে ফাঁসিয়ে আগামী দশ বছর কারাগারে রাখার পরিকল্পনা করেছে সেনাবাহিনী। পুরো পরিকল্পনা লণ্ডনে বসে করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
জামিন পেয়েই পিটিআই নেতা ইমরান খান বলেন, 'আমি যখন জেলে ছিলাম, তখন দেশ জুড়ে ইচ্ছাকৃতভাবে হিংসা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। রাষ্ট্রদোহিতার অভিযোগে তাকে ১০ বছর জেলে রাখার পরিকল্পনা করেছে পাক সেনা এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, তার স্ত্রীকেও কারাগারে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে পাক সেনা।
তাঁর স্ত্রীকে জেলে রেখে তাঁকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার মামলায় তাঁকে ১০ বছর জেলে রাখার পরিকল্পনা করে পাক সেনা। অপসারণের পর এক প্রকার শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন ইমরান খান।
৭০ বছর বয়সী এই নেতা আরও বলেন, 'পিটিআই কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মিডিয়াকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে সরকার পিটিআই কর্মীদের কন্ঠ রোধ করার চেষ্টা করেছে'।
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ইমরান খান আরও অভিযোগ করেন, 'সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়ি-ঘরে হামলা চালাচ্ছে । পুলিশ নির্লজ্জভাবে বাড়ির মহিলাদের উপর হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি । ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষের মধ্যে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে তারা আমাকে গ্রেফতারিতে বাইরে বেরিয়ে প্রতিবাদ জানাতে না পারে'।
দেশের জনগণকে তার বার্তা দিতে গিয়ে পিটিআই প্রধান বলেছিলেন যে আমি আমার রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে যাব। তিনি বলেন সরকারের কাছে মাথা নত করা মানে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিপদ ডেকে আনা। উল্লেখ্য শুক্রবারই জামিন পান ইমরান খান। তা সত্ত্বেও, তিনি পুনরায় গ্রেফতারের ভয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) প্রাঙ্গণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান করেন তিনি। পরে শনিবার খান লাহোরে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন।