/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/amartya-sen-759.jpg)
বুলন্দশহর হিংসা প্রসঙ্গে অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহের মন্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল পড়েছিল সম্প্রতি। রেশ কাটার আগেই অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া-র এক ভিডিও-তে দেশের রাজনইতিক আবহাওয়া নিয়ে অভিনেতার কিছু মন্তব্য ফের সমালোচনার ঝড় তোলে। নাসিরুদ্দিনের বক্তব্যকে সমর্থন করে পাশে দাঁড়িয়েছেন নবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
রবিবার নাসিরুদ্দিন শাহকে নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অমর্ত্য সেন বলেন, "এই নিয়ে রবিবার প্রশ্ন করা হয়েছিল অমর্ত্য সেনকে। তিনি বলেন, "অভিনেতাকে যে ভাবে বিব্রত করার চেষ্টা হচ্ছে, আমাদের তার প্রতিবাদ করা উচিত। দেশে যা চলছে তা অত্যন্ত আপত্তিজনক। এ সব বন্ধ হওয়া দরকার"। দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানের উপরে আঘাত করা হচ্ছে, এমন কী সাংবাদিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন 'তর্কপ্রিয় ভারতীয়'-র লেখক। “অন্যকে সহ্য করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। চিন্তা করার এবং বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা হারালে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়"।
আরও পড়ুন, ‘‘উদ্বিগ্ন নাগরিক হিসেবেই বলেছি, কী ভুল করেছি?’’
বুলন্দশহর হিংসার ঘটনার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ নাসিরুদ্দিন শাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, দেশের সামগ্রিক অবস্থা তাঁকে চিন্তায় ফেলেছে, এবং খুব শিগগির সেই পরিস্থিতি বদলানোর কোনো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন না।
In 2018, India witnessed a massive crackdown on freedom of expression and human rights defenders. Let's stand up for our constitutional values this new year and tell the Indian government that its crackdown must end now. #AbkiBaarManavAdhikaarpic.twitter.com/e7YSIyLAfm
— Amnesty India (@AIIndia) January 4, 2019
নিজের সন্তানদের জন্য অভিভাবক হিসেবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অভিনেতা। এই ঘটনার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার একটি ভিডিও-তে অভিনেতা ফের ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব’ করার অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। কী ভাবে শিল্পী-অভিনেতাদের কোণঠাসা করছে সরকার, কীভাবে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে সাংবাদিকদের, তার উল্লেখ করেন ভিডিওতে। আপকিবার মানবাধিকার এই হ্যাশট্যাগে সম্প্রতি ভিডিওটি শেয়ার করেছে অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া।
প্রসঙ্গত, এর আগেও নোটবন্দিসহ বর্তমান কেন্দ্র সরকারের একাধিক নীতির সমালোচনা করেছেন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।