Advertisment

খড়ের বাড়ি থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি দিয়েই মন জয় ওড়িশার সাংসদের

প্রতাপ চন্দ্রের স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ যথাক্রমে দেড় লাখ এবং পনের লাখ টাকা। তুলনায় কংগ্রেস প্রার্থী অথবা রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা বিজেডি প্রার্থীর কারোর সম্পত্তি ১০৪ কোটি। কারোর ৭২ কোটি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতাপ চন্দ্র সারঙ্গী

শপথ গ্রহণের ৫৮ জনের তালিকায় তার নাম ৫৬ নম্বরে। নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে উঠলেন ৬৪ বছরের অগোছালো চেহারার মানুষটা। ৬০০০ অতিথির দর্শকাসন তখন ফেটে পড়ছে হাততালিতে। প্রতাপচন্দ্র সারঙ্গী। ওড়িশার বালাসোর থেকে প্রথমবারের জন্য শপথ গ্রহণ করলেন মোদি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে। তারপর থেকে তাঁর নাম ট্রেন্ডিং-এ। তবে একদিন আগেও সারঙ্গীর এক ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশাল মিডিয়ায়। মোদী সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য নিজের কুঁড়ে ঘর থেকে সারঙ্গী বেরোচ্ছেন বাহুল্যবর্জিত এক ঝোলা সম্বল করে। টুইটারের কল্যাণে সেই ছবিই এখন নেটিজেনদের আলোচ্য বিষয়।

Advertisment

ওড়িশার মানুষের কাছে প্রতাপ চন্দ্র সারঙ্গী পরিচিত একজন নিয়মনিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে। স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তিনি অবিবাহিত এবং ব্রহ্মচারী কিনা। সারঙ্গী জানিয়েছেন তিনি অবিবাহিত ঠিকই, তবে ব্রহ্মচারী নন। ২৮ বছর বয়সে রামকৃষ্ণ মিশনে দীক্ষা নেওয়ার কথা মনঃস্থির করেছিলেন। কিন্তু পরিবারে বিধবা মা রয়েছেন, এবং তিনি ছেলের ওপর নির্ভরশীল জেনে মঠের সন্ন্যাসী নিজেই তাঁকে সন্ন্যাস নিতে বাধা দিয়েছিলেন। গত বছর মা মারা গিয়েছেন।

আরও পড়ুন, কুঁড়েঘরে থাকা বিজেপি বিধায়কের বাড়ি তৈরির দায়িত্ব নিলেন ভোটাররা

ওড়িশার পথে পথে সাইকেল নিয়ে প্রচার চালিয়ে সারঙ্গী ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছেন। নির্বাচনের ময়দানে হেভি ওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী থাকা সত্তেও সাদামাটা ছাপোষা জীবন যাপন করা প্রতাপ চন্দ্রতেই আস্থা রেখেছেন বালাসোরের মানুষ।

বালাসোর থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন লড়া প্রতাপ চন্দ্রের স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ যথাক্রমে দেড় লাখ এবং পনের লাখ টাকা। তুলনায় কংগ্রেস প্রার্থী অথবা রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা বিজেডি প্রার্থীর কারোর সম্পত্তি ১০৪ কোটি। কারোর ৭২ কোটি।

ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ কিমবা বালাসোরে শিক্ষার প্রসার, মাদক বিরোধী আন্দোলনে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দেওয়ায় সারঙ্গী সেখানকার চেনা মুখ। ২০০৪ সালে বিজেপি বিধায়ক হিসেবে এবং ২০০৯ সালে নির্দল বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন সারঙ্গী। তবে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জন্য দল নির্বিশেষে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তাঁর।

বিজেপির মুখপাত্র যদিও প্রতাপের বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে অন্য কথা বলছেন। "বিজেপির টিকিট হারিয়ে ফেলেই নাকি শেষ মুহূর্তে  নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন সারঙ্গী। যে ব্যাগে টিকিট রেখেছিলেন, ওটা হারিয়ে গিয়েছিল, শেষ মেষ মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় এসে যাওয়ায় স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন তিনি", জানালেন বিজেপির উপ সভাপতি সমীর মহন্তি।

Read the full story in English

bjp election commission General Election 2019
Advertisment