‘লাভ জিহাদ'-এর কোনও সংজ্ঞা বর্তমান আইনে নেই, এমনকী কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে এমন কোনও মামলাও দায়ের করা হয়নি। সংসদে বক্তব্য রাখার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি জানান, ২৫ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনশৃঙ্খলা, নৈতিকতা এবং ধর্মকে বিশ্বাস করা, অনুশীলন ও প্রচারের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। কেরালার উচ্চ আদালত-সহ বিভিন্ন আদালত এই মতামতকে সমর্থন করেছে। কিন্তু এই ‘লাভ জিহাদ' শব্দবন্ধকে বর্তমান আইনে সংজ্ঞায়িত করা নেই। কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাই ‘লাভ জিহাদ'-এর কোনও কেস দায়ের করেনি।''
আরও পড়ুন: জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেঙে পড়ল ‘দেশদ্রোহী’র স্কুল পড়ুয়া শিশুকন্যা
প্রসঙ্গত, কেরলে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ‘লাভ জিহাদ' সংক্রান্ত দুটি মামলার তদন্ত করেছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ২০১৮ সালের হাদিয়া মামলা। হাইকোর্ট কেরলের এক ২৫ বছরের তরুণীর মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে নাকচ করে দিলেও সু্প্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ওই মহিলার তাঁর স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে কোনও বাধা নেই।
প্রসঙ্গত, ‘লাভ জিহাদ' শব্দবন্ধটি দক্ষিণপন্থী দলগুলি ব্যবহার করে থাকে মুসলিম পুরুষ ও হিন্দু নারীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে। জানুয়ারিতেই কেরালার একটি ক্যাথলিক চার্চ থেকে বলা হয় যে লাভ জিহাদ একটি বাস্তব সমস্যা। ক্রিশ্চান সম্প্রদায়ের মহিলাদের লোভ দেখিয়ে ভিন ধর্মে বিয়েতে রাজি করিয়ে তাদের সন্ত্রাসমূলক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
Read the story in English