'লাভ জিহাদ'-এর ঘটনা যেন ক্রমশ উত্তাল করে তুলছে উত্তরপ্রদেশকে। মঙ্গলবার এমনই এক ঘটনা ঘটল কুশিনগরে। হিন্দু মহিলাকে ধর্মান্তর করে বিয়ে করছেন এক মুসলিম যুবক, ফোনে এমন অভিযোগ পেয়েই সেই বিয়ে বন্ধ করে পুলিশ। কিন্তু পরের দিনই সেই দম্পতিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তাঁরা। কারণ জানা যায় ওই যুগল মুসলিম। কোনও ধর্মান্তর হয়নি।
আর এরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ৩৯ বছরের হায়দার আলি। তিনি জানান কাশ্য পুলিশ স্টেশনে নিয়ে গিয়ে তাঁকে চামড়ার বেল্ট দিয়ে বেধরক পেটায় পুলিশ। কয়েক ঘন্টা ধরে চলে পুলিশি নির্যাতন। অবশেষে বুধবার আঠাশ বছরের শাবিলা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় হায়দার আলির।
কাশ্য থানার এসএইচও সঞ্জয় কুমার জানান যে কয়েকজন 'দুর্বৃত্ত' লাভ জিহাদের এই ভুয়ো খবর ছড়ায়। পুলিশ খবরের সত্যাত যাচাই করেই ছেড়ে দেয় দম্পতিকে। সার্কল অফিসার পীযূষ কান্ত রাই বলেন পুলিশকে দ্রুত আটক করতে হয়েছে কারণ 'পরিস্থিতি এখনও অশান্ত এবং প্রশাসন এই বিষয়টিকে অত্যন্ত কড়া মনোভাব জারি রেখেছে।"
নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে কুশিনগর এসপি বিনোদ কুমার সিংহ বলেছেন, মামলার কথা শুনে বেশ কয়েকজন উর্ধ্বতন অফিসার, স্থানীয় গোয়েন্দা ইউনিট এবং কিছু “সম্মানিত স্থানীয়” থানায় এসেছিলেন। “দম্পতিকে গোপনে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল এমনটা নয়। এছাড়াও, বিষয়টি সাজানো হয়েছে… কাউকে মারধর করার কোনও কারণ নেই। ”
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন