সমুদ্রপথে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলি থেকে লুকিয়ে আনা হচ্ছে কোকেন। শিপিং কনটেইনারগুলির মধ্যে লুকিয়ে, ফ্লাইটে লাগেজে ভর্তি বইয়ের মধ্যে অবাধেই আনা হচ্ছে মাদক। ট্রেন ও বাসের মাধ্যমে হিমাচল প্রদেশ ও নেপাল থেকে পাচার করা হচ্ছে মাদক। গোয়া কীভাবে হয়ে উঠেছে মাদকের স্বর্গরাজ্য জানলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।
সোমবার মাদকদ্রব্য পাচার বিরোধী এক বৈঠকে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গোয়া এবং দাদরা এবং নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ-এর ডিজিপি এবং সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গোয়া পুলিশের তরফে আয়োজন করা হয় এই বিশেষ অনলাইন মিটিং। সেই বৈঠকে উঠে এসেছে কীভাবে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠেছে মাদকে আখড়া। ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা থেকে গাঁজা কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র কেরালা হয়ে পাচার হচ্ছে গোয়ায়।
গোয়া পুলিশের তথ্য অনুসারে, ২০২১সালে মাদকদ্রব্য পাচার সংক্রান্ত অপরাধের জন্য মোট ১৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়, যার মধ্যে ২১ জন বিদেশী। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮৪, সেক্ষেত্রে বিদেশি মাদক পাচারকারীর সংখ্যা ছিল ২৯।২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত মোট ৮৯ জনকে মাদক পাচারের অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত তিন বছরে গ্রেফতার হওয়া বেশিরভাগ বিদেশী নাগরিক নাইজেরিয়ার।