শুক্রবার লখনৌতে ধরা পড়ল মর্মান্তিক দৃশ্য। ভৈনসাকুন্ড শ্মশানে মৃত্যু মিছিল। স্বজন হারাদের কান্নায় আকাশ-বাতাসে হাহাকার। চতুর্দিকে ধোঁয়া, কেবল ধোঁয়া। একের পর এক মৃতের স্তুপ জমছে। কোথাও আবার লাইনে শুয়েছে লাশ।
বেশ কিছুদিন ধরেই লখনৌতে দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি ছাড়িয়েছে। শুক্রবার সে রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেস পেরিয়েছে ৪০ হাজার। স্বাস্থ্যক্ষেত্রও যেন ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে এক বছরের টানা লড়াইয়ের পর ফের ময়দানে নেমে। হাসপাতালে সব আসন ভর্তি। মাটিতেও রয়েছে রোগী। আশা কেবল চিকিৎসার। রেমডেসিভির থেকে অক্সিজেন ঘাটতিই ঘাটতি। শ্মশানের চিত্র থেকে স্পষ্ট ঘাটতি কেবল নেই মৃত্যুতে।
আরও পড়ুন, শিশু দেহে করোনা থাবা, দু’দিনে ঝরল দুই সদ্যোজাত প্রাণ
কিন্তু কোভিড যে বায়ুবাহিত ভাইরাস। মৃতদেহের স্তুপ থেকে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কিছুটা আশ্বস্ত করেছেন লখনৌ পুরসভার কমিশনার অজয় দ্বিভেদী। তিনি বলেন, "আমরা কোভিড আক্রান্ত মৃত রোগীদের দেহ সুরক্ষিতভাবে সৎকারের চেষ্টা করছি। তা সে ইলেকট্রিক চুল্লি হোক কিংবা কাঠের। যেখানে এই মৃতদেহগুলি পোড়ানো হচ্ছে সেই এলাকা আলাদা করে ব্যারিকেড করা হয়েছে। প্রতিদিন ৫০ এর বেশি মৃতদেহ দাহ করতে হচ্ছে। আগে সেই সংখ্যা ছিল ১০ থেকে ১৫।"
আরও পড়ুন, বায়ুবাহিত করোনার শক্তি বেশি! আরও সাবধান হওয়ার আর্জি গবেষকদের
এদিকে আইশবাগ কবরস্থানের অবস্থাও মারাত্মক। পয়লা এপ্রিল থেকে ৩২৮টি দেহকে কবর দেওয়া হয়েছে। কবরস্থানের দায়িত্বে থাকা আব্দুল মাতিন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "আগে দিনে পাঁচটি কি ছটি দেহ আসত। এখন সেই সংখ্যা ২৫ থেকে ৪০ হয়েছে। বৃহস্পতিবার একদিনে ৩৯টি দেহ কবর দেওয়া হয়েছে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন