বহিরাগতদের হঠাতেই বিক্ষোভকারীদের কম্বল কাড়া হয়েছে, সাফাই পুলিশের

ঘণ্টা ঘরের সামনে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে বসেছেন কয়েকশো মহিলা। কিন্তু, সেখানে গিয়েই শনিবার রাতে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।

ঘণ্টা ঘরের সামনে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে বসেছেন কয়েকশো মহিলা। কিন্তু, সেখানে গিয়েই শনিবার রাতে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অভিযোগ, ঘণ্টা ঘরের জমায়েত ভাঙতে আন্দোলকারীদের কম্বল এবং খাবার কেড়ে নিয়েছে পুলিশ।

লখনউয়ের ঘণ্টা ঘরের সিএএ প্রতিবাদীদের জমায়েত। যা ভাঙতে আন্দোলকারীদের থেকে কম্বল এবং খাবার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এরপরই দেশজুড়ে যোগী রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড়। প্রবল নিন্দার মাঝে পুলিশের সাফাই 'বহিরাগতদের হঠাতেই যথাযত প্রক্রিয়া মেনেই আন্দোলনকারীদের কম্বল কেড়ে নেওয়া হয়েছে।'

Advertisment

দিল্লির শাহিনবাগ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লখনউয়ের ঘণ্টা ঘরের সামনে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে বসেছেন কয়েকশো মহিলা। জমায়েতে রয়েছে শিশুরাও। কিন্তু, সেখানে গিয়ে শনিবার রাতে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। মহিলাদের কাছ থেকে খাবার ও কম্বল কেড়ে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ঘটনা যখন হচ্ছে, তখন আন্দোলনকারীদের মধ্যে অনেকে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে চিৎকার করতে থাকেন। মহিলা ও শিশুদের খাবার-কম্বল কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় সোশাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ‘সিএএ কার্যকর করব না বলাটা অসাংবিধানিক’, মত কংগ্রেসের কপিল সিবালের

Advertisment

এরপরই লখনউ পুলিশের তরফে, এডিসিপি বিকাশ চন্দ্র ত্রিপাঠী ব্যাখ্য়া দিয়ে জানান, 'বিনা অনুমতিতে ঘন্টাঘরে কিছু মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। কিছু মানুষ বাইরে থেকে এসে আন্দোলনকারীদের কম্বল-খাবার বিতরণ করেছে। এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের সঙ্গে আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই তারাও পার্কে ঢুকে পড়ে কম্বল সংগ্রহ করেছেন। তাই ভিড় সরাতেই আমাদের পদক্ষেপ করতে হয়েছে। যা হয়েছে আইনগত পদ্ধতি মেনেই করেছে পুলিশ। এই নিয়ে অযথা বিতর্ক ছড়ানো উচিত নয়।'

ঘন্টা ঘরের বিক্ষোভকারী ফৌজিয়া রানা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'কালা আইনের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে পুলিশ কতটা নির্মম হতে পারে তার উদাহরণ আজকের ঘটনা। পুরুষরা পথে নেমে বিক্ষোভ করায় গত ১৯ ডিসেম্বর অত্যাচার করেছিল পুলিশ। মনে করেছিলাম বাড়ির মহিলারা রাস্তায় বেরিয়ে আন্দোলন করলে পুলিশি অত্যাচার হবে না। কিন্তু, সেই মনে হওয়া সঠিক ছিল না।' ফৌজিয়া মুন্নারের প্রখ্যাত উর্দু কবির কন্যা।

এতেও অবশ্য আন্দোলন ভাঙা যাবে না বলে জানাচ্ছেন প্রতিবাদীরা। শীতে গরম-বস্ত্র ছাড়াই সিএএ প্রতিবাদীরা খোলা মাঠে বসে আন্দোলন চালাবেন বলে জানিয়েছেন। প্রতিরোধ এলে তার মোকাবিলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি তাদের। গত শুক্রবার শীতের মধ্যে আগুন জ্বালানোয় পুলিশ তাতে জল ঢেলে নিভিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। প্রসঙ্গত, গোটা দেশে ২৬ জন প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে নিহত ১৯ জন।

Read the full story in English

caa