লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে আটক করল জার্মান পুলিশ। ভারতীয় ইন্টেলিজেন্সের রিপোর্টের ভিত্তিতে জার্মান পুলিশ মঙ্গলবার জসবিন্দর সিং মুলতানি নামে শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের সদস্যকে ধরেছে। বার্লিনের প্রশাসনের কাছে ভারত থেকে খবর গিয়েছিল। ভারতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে ইন্টেলিজেন্স।
জানা গিয়েছে, মুলতানির বিরুদ্ধে পাঞ্জাবে দুটি এফআইআর দায়ের রয়েছে। তাঁকে জেরা করার জন্য বার্লিনে আটক করা হয়েছে। জার্মানিতে কূটনৈতিক স্তরে ভারতের সঙ্গে আলোচনার পর সে দেশের পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। উল্লেখ্য, লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণের পাঁচ দিন পর মুলতানিকে আটকে করা হল।
গত ২৩ ডিসেম্বর বিস্ফোরণ কাণ্ডে গগনদীপ সিং নামে এক প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। আরও দুজন জখম হয়েছিলেন। পুলিশের প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ ছিল, এই নাশকতার পিছনে খালিস্তানি তত্ত্ব থাকতে পারে। সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান যোগ রয়েছে মুলতানির। পাঞ্জাবে মৌলবাদী কার্যকলাপ, নাশকতার ছক ছিল দুষ্কৃতীদের।
এর আগে কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়ালকে খুনের চক্রান্তের নেপথ্যে মুলতানির নাম উঠে আসে। কৃষক আন্দোলনের সময় এই ছক কষা হয় বলে ইন্টেলিজেন্স সূত্রে খবর। এই বছর জানুয়ারি মাসে হরিয়ানা পুলিশ যোগেশ নামে সোনিপতের এক যুবককে চিহ্নিত করে রাজেওয়ালকে হত্যা করার চেষ্টার অভিযোগে।
আরও পড়ুন ট্যাটুর সূত্র ধরে মিলল মৃতের পরিচয়, আদালতে বিস্ফোরণ কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
বলদেব সিং সিরসা, কুলদীপ সান্ধু এবং জগজিৎ সিং নামে আরও অনেক কৃষক নেতার ছবি পাওয়া গিয়েছিল অভিযুক্তের মোবাইল ফোনে। ধৃত যুবকের সঙ্গে মুলতানির যোগসাজশ ছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। মুলতানির নির্দেশে যোগেশ বেশ কয়েকজন কৃষক নেতাকে নিশানা করে বলে খবর।
লুধিয়ানা বিস্ফোরণ কাণ্ডে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, অভিযুক্তের সঙ্গে খালিস্তানি এবং পাকিস্তান-উপসাগরীয় দেশের যোগ ছিল। তদন্তে আরও পাওয়া যায়, নিহত গগনদীপ অনেক দিন ধরে মুলতানির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিল। এমনকী বিস্ফোরকের বন্দোবস্তও মুলতানিই করে দেয়।