লুটিয়েন্স জোন বা মধ্য দিল্লির ভিভিআইপি এলাকা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সিনিয়র আমলাদের বাংলো, পাশাপাশি লুটিয়েন্স জোনে অবস্থিত ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অফিস সহ বেশ কয়েকটি সরকারি ভবন যে জমির ওপর গড়ে উঠেছে, সরকারি মানচিত্রে সেগুলির উল্লেখ রয়েছে ‘বনভূমি’ এলাকা হিসাবে।
Advertisment
সরকারি ফরেস্ট কভার ম্যাপে সবগুলোকেই বন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বহু গবেষণা ভারতে ‘বনাঞ্চলের’ ক্ষতির বিষয়ে একাধিক রিপোর্ট সামনে এনেছে। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে, ভারতের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ সরকারি নথিতে ‘ধারাবাহিকভাবে’ সবুজের উল্লেখ রয়েছে। প্রথমবারের মতো, স্যাটেলাইট চিত্রগুলি দেখায় যে সংরক্ষিত বনভূমিতেই গড়ে উঠেছে শহুরে আবাসন এলাকা, ভিআইপি বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের মত বহুতল ভবন।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি তদন্তে দেখা গেছে যে ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’ (আইআইটি) এবং ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস’) ক্যাম্পাসের কিছু অংশের পাশাপাশি দিল্লির বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকা 'বনভুমি'র অন্তর্গত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, স্যাটেলাইট ছবি থেকে জমির ব্যবহার ও মালিকানা শনাক্ত করা সম্ভব নয়। গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ, রিপোর্ট অনুসারে, ভারত ২০১০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ১,২৭০ বর্গ কিলোমিটার ধারাবাহিকভাবে প্রাকৃতিক বনভুমিকে হারিয়েছে। ফলে এই রিপোর্ট ঘিরে নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ।