আবারও গণপিটুনি, আবার মৃত্যু। এবার খোদ প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যেই গণপিটুনির ঘটনা ঘটল। আবারও সন্দেহের জেরে খুনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হল জনতা। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য গুজরাতের দাহোড জেলায়। চোর সন্দেহে দুই যুবককে গণপ্রহার দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যার পরিণতি হিসেবে প্রাণ হারিয়েছেন আজমল ওয়াহোনিয়া নামে বছর বাইশের এক আদিবাসী যুবক। এ ঘটনায় জখম হয়েছেন ভারু মাথুর নামে আরও একজন।
গণপ্রহারে নিহত আজমল উন্ডার গ্রামের বাসিন্দা ও জখম মাথুর আমালি খাজুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মাথুরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছেন লিমডি থানার পুলিশ।
শনিবার রাতে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর ও আজমলের পথ আটকান কয়েকজন। এত রাতে তাঁরা গ্রামে কী করছেন, এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। আজমল নিজের গ্রামের নাম বলেন, এরপরই ওই ব্যক্তিরা তাঁদের চোর বলে সন্দেহ করেন বলে অভিযোগে জানিয়েছেন মাথুর। ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু তখনই জনতার কোপে পড়তে হয় আজমলদের। প্রায় ১০০ জন তাঁদের ঘিরে ধরে মারধর করে বলে অভিযোগ করেছেন মাথুর।
আরও পড়ুন,Lynching in Karnataka: ফের ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু, ঘটনাস্থল কর্নাটক
অন্যদিকে গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, ২০ জনের একটি দল গতরাতে এলাকায় ঢুকেছিল। শনিবার রাতে ওই দলটি চুরি-ডাকাতির ছক কষেছিল বলেও পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। আজমল ও মাথুর ওই দলেরও সদস্য বলেও অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এহেন দাবি সম্পর্কে জানিয়েছেন লিমডি থানার এসআই প্রবীণ জুন্দল।
অন্যদিকে, আজমল ও মাথুরের বিরুদ্ধে আগে চুরির অভিযোগ ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। কয়েকদিন আগেই তাঁরা জেল থেকে ছাড় পান বলে জানান এসআই। তবে আসলে কী কারণে এমনটা ঘটল, তার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই এসআই।