কখনও চোর সন্দেহে, কখনও বা গরু চোর সন্দেহে, আবার কখনও ছেলেধরা সন্দেহে গণপ্রহারে মৃত্যুর ঘটনা যেভাবে দেশে মাথাচাড়া দিচ্ছে তাতে বিশ্ব দরবারে এ দেশের বদনাম হচ্ছে বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী কে জে আলফোন্স। গণপিটুনির মতো ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি যে খারাপ হচ্ছে তাও বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে গোমাংস নিষিদ্ধ হওয়াতে দেশের পর্যটন শিল্পে যে কোনও খারাপ প্রভাব পড়েনি, সেকথাও জোর গলায় বলেছেন আলফোন্স।
মঙ্গলবার চিনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন,‘‘গণপিটুনির মতো ঘটনা ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনায় জড়িতদের অপরাধী হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য রাজ্যগুলিকে পদক্ষেপ করতে বলেছেন।’’ গণপিটুনির ঘটনায় কি দেশের পর্যটন শিল্পে প্রভাব পড়ছে? জবাবে মন্ত্রী বলেন যে, ঠিক তেমনটা না হলেও এ ধরনের ঘটনায় দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
দেশে গোমাংসে নিষেধাজ্ঞা হওয়ায় কি বিদেশের পর্যটকরা এ দেশে আসার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না? জবাবে আলফোন্স বলেন, ‘‘না, তা নয়, কেরালা, গোয়া, উত্তর-পূর্বের কথাই ধরুন, এ রাজ্যগুলিতে কিন্তু গো মাংস খাওয়া হয়। এগুলিও পর্যটকদের পছন্দসই জায়গা...যেখানে তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন সেখানেই যেতে পারেন।’’
আরও পড়ুন, আসাম এন আর সি তালিকা থেকে বাদ পড়া ১০ শতাংশ মানুষের তথ্য পুনর্যাচাইয়ের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
এ দেশে চিনা পর্যটক টানতে ড্রাগনের দেশে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী। মঙ্গলবার বেজিংয়ে একটি রোড শো করেন তিনি। সাংহাই ও উহানেও মন্ত্রী যাবেন বলে জানা গিয়েছে। এ দেশে চিনা পর্যটকদের আসা প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান যে, গত বছর ১৪৪ মিলিয়ন চিনা পর্যটন বিদেশে গিয়েছিলেন, যার মধ্যে মাত্র ৩ লক্ষ চিনা নাগরিক এ দেশে এসেছিলেন। আগামী ৩ বছরে এ দেশে যাতে ১৪ মিলিয়ন চিনা পর্যটক আসেন, সে ব্যাপারে নয়া উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
অন্যদিকে এ দেশে নারীসুরক্ষা নিয়ে খুব একটা খুশি নয় পড়শি দেশ। যে কারণেও এ দেশে চিনা পর্যটকের সংখ্যা কম কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে, মন্ত্রী জানান যে, এটা যে যার উপলব্ধির উপর নির্ভর করে।