Advertisment

Lynchings in India: জনতা যখন খুনি!

৯টি রাজ্যে গণপিটুনি নিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিনিধিরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে গণপিটুনির ঘটনার কিছু পরিসংখ্যান মিলেছে, যার সংক্ষিপ্ত বিবরণ রইল এখানে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
lynching, গণপিটুনি

গণপিটুনির ছবি, প্রতীকী।

ওঁরা অচেনা গন্তব্যে পাড়ি দিয়েছিলেন। যে গন্তব্যের পথ পেরোতে গিয়ে অকারণে নিজেদের জীবন বলিদান দিতে হয়েছে। অচেনা জায়গায গিয়ে ওঁদের অনেকেই ভালবেসে-সস্নেহে বাচ্চাদের চকোলেট বিলিয়েছেন। যে ভালবাসার পরিণতি হিসেবে প্রাণ দিতে হয়েছে ওঁদের। ওঁদের নামের সঙ্গে জুড়েছে নানা কটূ কথা। কখনও ‘ছেলেধরা’ তো কখনও গরু বা মোষ পাচারকারী। আর এই বিশেষণগুলো জুড়েছে আম-আদমির সন্দেহের বশে। হ্যাঁ, তথ্য বলছে গত এক বছর ধরে যেসন গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা সামনে এসেছে, তাতে শুধুমাত্র সন্দেহের বশে মানুষ মানুষকে খুন করেছে।

Advertisment

‘ছেলেধরা’, এ শব্দটির সঙ্গে আমাদের সকলেরই প্রায় ছোটোবেলায় পরিচয় ঘটেছে। দুপুরে ঘুমোনোর জন্য যখন মা-পিসিরা পীড়াপীড়ি করতেন, তখন আমাদের চোখের পাতা বন্ধ না হলে অনেকসময়ই এই ‘ছেলেধরা’ নামক অদৃশ্য চরিত্রের ভয় দেখাতেন তাঁরা। শৈশবের সেই ‘ছেলেধরা’ শব্দে আজ সরকারও বোধহয় ভীত। কারণ গত এক বছরে যে কটা গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তার অনেকটাই হয়েছে এই ‘ছেলেধরা’-র জন্য। হ্যাঁ, অজানা-অচেনা কোনও ব্যক্তি একজন বাচ্চাকে চকোলেট দিলেন মানেই এ সমাজ তার নিজের মতো করে বুঝে নিল যে, ওই ব্যক্তি চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে বাচ্চাটিকে ‘কিডন্যাপ’ করতে চান। আর এই ভুল বোঝাবুঝির জেরেই চকোলেটের আদর নিমেষে ঘৃণায় বদলে যায়, যা একটা প্রাণ কেড়ে নেয়। ছেলেধরা সন্দেহে যুবককে গণপিটুনির ঘটনা তো আখছাড় ঘটেছে।

ছেলেধরা সন্দেহে যেমন গণপিটুনির উদাহরণ রয়েছে, তেমনই আরও একটি ঘটনাকে ঘিরে মারমুখী জনতার রোষ দেখেছেন দেশবাসী। গরু-মোষ হত্যার অভিযোগ কিংবা গবাদি পশু পাচারের সন্দেহ, এ নিয়েও মানুষ মানুষকে খুন করেছে। গোরক্ষকদের তাণ্ডবলীলা দেখে তো শিহরিত দেশের সর্বোচ্চ আদালতও। গোরক্ষকদের দমন করতে গতবছরই কড়া মনোভাব দেখিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। কিন্তু না, লাভের লাভ কিছুই হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কড়া সাবধানবাণী যে কার্যত গোরক্ষকদের দল উপেক্ষা করেছেন তা তো হালফিলের কয়েকটা ঘটনা দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

lynching, গণপিটুনি গণপিটুনির রাজ্যভিত্তিক পরিসংখ্যান। ছবি- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

অসম থেকে তামিলনাড়ু, গত এক বছরে নয় রাজ্যে ছেলেধরার গুজবে ১৫টির মতো গণপিটুনির ঘটনায় ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছেলেধরা সন্দেহে বা কোনও গুজবে জনতার আগ্রাসী মনোভাব বেশ স্বতঃস্ফূর্ত। ক্রোধের বশে মানুষ খুন নিয়ে প্রতিটি ঘটনার ধরন নিয়ে অন্তর্তদন্ত করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। যে অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে গণপ্রহারে জড়িতদের সংখ্যা, জনতার গতিপ্রকৃতি, কীভাবে গুজব ছড়ায়, অভিযুক্তদের স্বভাবচরিত্র। শুধু তাই নয়, এসব ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকাও দেখার মতো।

এ রাজ্যের পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ।  উত্তরবঙ্গে গুজব বেশি ছড়িয়েছে, কিন্তু বাদ যায়নি দক্ষিণবঙ্গও। বীরভূমের বোলপুর ও পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে মানুষের নির্বিকার হিংস্র মনোভঙ্গি।

মালদহ, দুই দিনাজপুর, বীরভূম,পশ্চিম মেদিনীপুরসহ রাজ্য়ের বিভিন্ন জায়গায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। শুধু মালদহের হবিবপুরে অন্তত ৮টি এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় প্রশাসনের তরফ থেকে  নানা ভাবে জনসচেতনতার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের অন্তর্তদন্তে জানা গিয়েছে, যেসব এলাকায় গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে থানার দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। ২৭টি মৃত্যুর ঘটনাতে দেখা গিয়েছে নিকটবর্তী থানা ২-২০ কিমির মধ্যে। গড় হিসেবে বলা যায়, ১০ কিমির মধ্যে। তা সত্ত্বেও ঠিক সময়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি। যদি পুলিশ ঠিক সময়ে ঘটনাস্থলে আসত, তবে কি এত মৃত্যু এড়ানো যেত না? এই ঘটনা গুলি থেকে দেখা যাচ্ছে পুলিশ যত তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থলে আসে, তার থেকেও বেশি গতিতে ছুটে আসে মারমুখী জনতা। গুজব চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো।

এ ধরনের ঘটনা রুখতে স্থানীয় থানার ভূমিকা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করেছেন এক সরকারি আধিকারিক। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি জানিয়েছেন যে, স্থানীয় থানার তরফে কীভাবে সাধারণকে এ ব্যাপারে সাবধান করা হচ্ছে, এধরনের ঘটনা এড়াতে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে , শেষ পর্যন্ত তার উপরেই নির্ভর করে থাকে প্রায় সবটা। তিনি আরও বলেন যে, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে কত সময়ের ব্যবধানে এ খবর থানায় আসছে, কিংবা এমন ঘটনা ঘটতে পারে কিনা তার আগাম কোনও খবর স্থানীয় থানার কাছে আসছে কিনা, তা দেখা দরকার। স্থানীয় থানার তরফে সচেতনতামূলক প্রচার কতখানি হচ্ছে তাও দেখা দরকার বলে মনে করেন ওই আধিকারিক।

আরও পড়ুন, ছেলেধরা গুজবের পিছনে কি কোনও বৃহত্তর অভিসন্ধি?

৯টি রাজ্যে গণপিটুনি নিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিনিধিরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে গণপিটুনির ঘটনায় মৃত্যুর কিছু পরিসংখ্যান মিলেছে, যার সংক্ষিপ্ত বিবরণ রইল এখানে।

ঝাড়খণ্ড: নিহত ৭

১৮ মে, ২০১৭

স্থান- নাগাডি গ্রাম, পূর্ব সিংভূম

আক্রান্ত: বিকাশ বর্মা(২৫), গৌতম বর্মা(২৭) ও তাঁদের বন্ধ গঞ্জেশ গুপ্তা(২৬)।

আক্রান্তরা গ্রামে শৌচাগার বানানোর জন্য গর্ত খোঁড়ার কাজে যোগ গিয়েছিলেন। গত বছরের ১৮ মে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ জামশেদপুরের যুগসালাইয়ের কাছে ফেরার পথে গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন তাঁরা। প্রায় হাজার খানেক লোকের মার খেয়েছিলেন ওঁরা। ঘটনাস্থল থেকে কাছাকাছি থানার দূরত্ব ৪ কিমি।

১৯ মে, ২০১৭

স্থান- শোভাপুর গ্রাম, সেরাইকেলা-খরসাওয়ান

আক্রান্ত: নইম(২৫), শেখ সজ্জু(২৬), শেখ সিরাজ(২৬) ও শেখ হালিম(২৮), এঁরা সকলেই হলদিপোখর গ্রামের বাসিন্দা। গবাদি পশু পাচারের অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন এঁরা। অভিযুক্তদের সংখ্যা ছিল ৬০০-৭০০। নিকটবর্তী থানার দূরত্ব ২০ কিমি। একঘণ্টার মধ্যে পুলিশ এসেছিল ঘটনাস্থলে।

তামিলনাড়ু: নিহত ১

১৯ মে, ২০১৮

স্থান- আতিমুর গ্রাম, তিরুভান্নামালাই

আক্রান্ত: রুক্মিণী(৬৫)। আত্মীয়ের সঙ্গে মন্দিরে যাওয়ার পথে কয়েকজন বাচ্চাকে চকোলেট দিয়েছিলেন বছর পঁয়ষট্টির ওই মহিলা। চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ছেলেধরার ছক ছিল ওই মহিলার, এই গুজবেই জনরোষে পড়ে প্রাণ দিতে হয় ওই বৃদ্ধাকে। প্রায় ২০০ জন লোক চড়াও হয়েছিল ওই মহিলার উপর। ঘটনাস্থল থেকে থানার দূরত্ব ৩ কিমি। আধঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে এসেছিল পুলিশ। হোয়াটস অ্যাপে একটি ভিডিও ছড়িয়েপড়েছিল, যেখানে দেখানো হয়েছিল, গ্রামের কয়েকজন বাচ্চাকে অপহরণ করা হয়েছে।

কর্নাটক: নিহত ১

২৩ মে

স্থান- কটনপেট, বেঙ্গালুরু

আক্রান্ত: কালু রাম(২৬)। রাজস্থান থেকে আসা ওই যুবক শ্রমিকের কাজ করতেন। উসকোখুসকো চেহারায় ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহের বশে প্রায় ৫০ জনের রোষ পড়ে ওই যুবকের। ঘটনাস্থল থেকে থানার দূরত্ব ২ কিমি। দুপুর দেড়টা নাগাদ ঘটনা ঘটে। দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ ফোন পাওয়ার ১০ মিনিটের মাথায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এখানেও হোয়াটস অ্যাপে ভিডিও ছেলেধরা গুজবের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল।

তেলঙ্গানা: নিহত ১

২৩ মে

স্থান- জিয়াপল্লি গ্রাম, নলগন্ডা

আক্রান্ত: ছেলেধরা সন্দেহে প্রায় ৫০ জনের গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ বছর বয়সী এক অটোচালক এন বালাকৃষ্ণার। ঘটনাস্থল থেকে থানার দূরত্ব ১৫ কিমি। সন্ধে ৬টার সময় ঘটনা ঘটেছিল, আর পুলিশ খবর পেয়েছিল রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ। এর প্রায় আধ ঘণ্টা বাদে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এখানেও হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে ছেলেধরা নিয়ে গুজব রটেছিল।

অসম: নিহত ২

৮ জুন

স্থান- কার্বি আংলং

আক্রান্ত: অভিজিৎ নাথ(৩০) ও নীলোৎপল দাস(২৯)। এঁরাও ছেলেধরা সন্দেহে গণপ্রহারে নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে থানার দূরত্ব ১৮ কিমি। সন্ধে সাড়ে ৭টায় ঘটনা ঘটে, পুলিশ আসে রাত ৯টা ১০ মিনিটে। ফেসবুকে ছেলেধরা নিয়ে গুজব রটেছিল এলাকায়। প্রায় ৫০০ জন লোকের পিটুনিতে অকালে প্রাণ দিতে হয়েছিল ওই দু’জনকে।

পশ্চিমবঙ্গ: নিহত ২

১৩ জুন

স্থান: বুলবুলচণ্ডী-দুবাপাড়া, মালদহ

আক্রান্ত: মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করা হয়। প্রায় ৬০ জন গণপ্রহারে জড়িত বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে থানার দূরত্ব ৮ কিমি, পুলিশ আধঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে এসেছিল।

২৩ জুন

স্থান: মাঠুরি, পূর্ব মেদিনীপুর

আক্রান্ত: সঞ্জয় চন্দ্র(৩৬), গরমের তাপ থেকে বাঁচতে সকালে মুখ ঢেকেছিলেন ৩৬ বছর বয়সী বি.কম স্নাতক সঞ্জয়। এক নাবালিকাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন সঞ্জয়, এটাই নাকি দেখেছিলেন স্থানীয়দের একাংশ। ব্যস, এতেই হাজার মানুষের রোষের শিকার হন সঞ্জয়। ঘটনাস্থল থেকে থানার দূরত্ব ৮ কিমি। কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি চেকপোস্টের ২-৩ পুলিশ কর্মী ঘটনাস্থলে পোঁছেছিলেন।

এ জেলার দুই ঘটনাতেই ছেলেধরা নিয়ে গুজব রটেছিল।

ছত্তীসগড়: নিহত ১

২২ জুন

স্থান: মন্ডরাকলা গ্রাম, সর্জুজা

আক্রান্ত: মানসিক ভারসাম্যহীন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে ছেলেধরা সন্দেহে ১৫ জনের একটি দল পিটিয়ে মারে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে থানার দূরত্ব ১২ কিমি। সঠিক সময়ে খবর দিলেও ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি পুলিশ।

ত্রিপুরা: নিহত ৩

২৮ জুন

স্থান: সিদ্ধাই মোহনপুরস পশ্চিম ত্রিপুরা

আক্রান্ত: জাহির খান নামে ৩০ বছরের এক হকার হাজার খানেক লোকের রোষের শিকার হয়ে প্রাণ হারান। একটি ভ্যানে করে তিন সহযোগীর সঙ্গে যাচ্ছিলেন জাকির, সেসময়ই হামলা হয়। ঘটনাস্থল থেকে থানার দূরত্ব ৮-১০ কিমি। জনরোষের মুখে পড়ে ৪ জনই ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের স্থানীয় ক্যাম্পে আশ্রয় খোঁজেন। জওয়ানরা শূন্য গুলিও চালান, কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয় না।

স্থান : কলাচ্চারা, দক্ষিণ ত্রিপুরা

আক্রান্ত: সুকান্ত চক্রবর্তী(৩৩), গুজবের রুখতে প্রচারাভিযানের ঘোষক ছিলেন সুকান্ত। গুজব ঠেকাতে গিয়ে নিজেই প্রায় ২ হাজার মানুষের রোষের শিকার হয়ে প্রাণ হারান সুকান্ত। ঘটনাস্থল থেকে থানার দূরত্ব ৮-১০ কিমি। কয়েকজন পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে ছিলেন, কিন্তু এ ঘটনা এড়ানো যায়নি।

স্থান: লক্ষ্মীবিল গ্রাম, সিপাহিজলা

আক্রান্ত: গণপ্রহারে মৃত্যু হয় এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার।

ঘটনাস্থল থেকে থানার দূরত্ব ৫-৬ কিমি।

মহারাষ্ট্র: নিহত ৯

১ জুলাই

স্থান: রেনপডা, ধুলে

আক্রান্ত: দাদারাও শঙ্করাও ভোঁসলে(৩৬), ভারত(৪৫), ভারত মালবে(৪৫), অগ্নু শ্রীমন্ত ইঙ্গল(২০), রাজু ভোঁসলে(৪৭)।

প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষের প্রহারে নিহত হন এঁরা। ঘটনাস্থল থেকে থানার দূরত্ব ২০ কিমি। পিমপালনার থানার দূরত্ব ৪০ কিমি। এ থানাতেই প্রথম খবর দেওয়া হয় সকাল ১১টা ১০ মিনিট নাগাদ। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ। এঁরাও ছেলেধরা সন্দেহে গণপ্রহারের শিকার হন। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াও ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।

গত মাসে এক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি ঘটনায় আরও চারজনের মৃত্যু হয় গণপিটুনিতে। একইরকম গুজবের জেরে তিনজনের মৃত্যু হয় ঔরঙ্গাবাদে ও একজনের মৃত্যু হয় গন্ডিয়ায়।

national news
Advertisment