গণপিটুনির মতো ভয়ঙ্কর সামাজিক রোগ নির্মূল করতে জোর তৎরপরতা দেশের শীর্ষ আদালতে। এর আগেও দেশে গণপ্রহারে মৃত্যু ঠেকাতে কড়া নির্দেশবাণী শোনা গিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। গণপিটুনি ঠেকাতে রাজ্যগুলিরই উপর ভার দেওয়া হয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে। কিন্তু কোনওকিছুতেই গণপ্রহার আটকানো যায়নি। এবার এ নিয়ে আইন-প্রণয়নের পথ অবলম্বন করতে বললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। দেশজুড়ে গণপিটুনি রুখতে সংসদে নতুন আইন তৈরির পরামর্শ দিলেন তাঁরা।
জনতার হাতে আইন তুলে নেওয়ার যে সাম্প্রতিক প্রবণতা দেখা দিয়েছে তাকে ভয়ংকর বলে আখ্যা দিয়ে শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, এ বিষয়টিকে কড়া হাতে দমন করতে হবে।
গণপিটুনির ঘটনাগুলিকে দমন করতে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানউইলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। এদিন গণপিটুনির ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের ভয়ঙ্কর রূপ’ অ্যাখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। যেভাবেই হোক শক্ত হাতে এ ধরনের ঘটনা দমন করার কথাও বলা হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে। আবারও এ ঘটনা এড়াতে রাজ্যগুলিকে অতিসক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।
আরও পড়ুন, গো-রক্ষার নামে হিংসা ঠেকানো রাজ্যেরই দায়িত্ব: সুপ্রিম কোর্ট
গণপিটুনির ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, ‘‘কেউই আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। কেউই নিজে নিজে আইন তৈরি করতে পারেন না।’’ এ ধরনের হিংসাকে যে কোনওভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, সে বার্তাও দিয়েছে বিচারপতিদের বেঞ্চ।
দেশে এ ধরনের ঘটনা রুখতে নির্দেশিকা তৈরি করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে পিটিশন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে। তুষার গান্ধী ও তেহসিন পুনাওয়ালার দায়ের করা এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৮ অগাস্ট।