New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/05/mj-akbar-priya-ramani.jpg)
প্রিয়া রামানির সেটিই প্রথম ইন্টারভিউ ছিল কিনা বলতে পারেননি এম জে আকবর
আকবরকে এদিন পাল্টা জেরা করেন সিনিয়র আইনজীবী, প্রিয়া রামানির কৌঁশুলি রেবেকা জন। মামলা চলেছে অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্য়াজিস্ট্রেট সমর বিশালের আদালতে।
প্রিয়া রামানির সেটিই প্রথম ইন্টারভিউ ছিল কিনা বলতে পারেননি এম জে আকবর
প্রিয়া রামাণিকে ১৯৯৪ সালে খবরের কাগজে চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য হোটেলের ঘরে ডাকার কথা অস্বীকার করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী এম জে আকবর। প্রিয়া রামানি মিটু ক্যাম্পেনে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন।
এম জে আকবর গত বছরের ১৭ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। প্রিয়া রামানি ছাড়া অন্য মহিলা সাংবাদিকরাও আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন।
আকবরকে এদিন পাল্টা জেরা করেন সিনিয়র আইনজীবী, প্রিয়া রামানির কৌঁশুলি রেবেকা জন। মামলা চলেছে অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্য়াজিস্ট্রেট সমর বিশালের আদালতে।
"প্রিয়া রামানিকে আমার ঘরে আসতে বলেছিলাম এ কথা ঠিক নয়। এমনটা বলাও ভুল যে উনি দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন বা আমি জোর করেছিলাম। আমি জানি না, গ্র্য়াজুয়েশনের পর এটাই প্রিয়া রামানির প্রথম ইন্টারভিউ ছিল কি না।"
"১৯৯৪ সালে এশিয়ান এজের দিল্লি অফিসে প্রিয়া রামানিকে চাকরি অফার করা হয়েছিল তা আমি নিশ্চিত নই। যেহেতু এটা ২৫ বছরের পুরনো ঘটনা, আমি যতদূর মনে করতে পারি উনি বম্বে অফিসে কাজ করতেন।"
প্রিয়ার আইনজীবী আকবরকে অন্য় যেসব মহিলা সাংবাদিকরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তাঁদের নিয়েও প্রশ্ন করেন।
এই প্রশ্ন করার সময়ে তীব্র আপত্তি তোলেন আকবরের আইনজীবী গীতা লুথরা। তিনি বলেন যেহেতু এই মামলার সঙ্গে এ বিষয়গুলি যুক্ত নয়, ফলে এসব প্রশ্ন অবান্তর।
রামানির আইনজীবী বলেন, "এসবই আমার মক্কেলের স্বার্থে কারণ এসবের মাধ্যমে ওঁর (আকবরের) চরিত্র প্রকাশিত হয়।" এর পর দুই সিনিয়র মহিল আইনজীবীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।
বিচারক রামানির আইনজীবীকে প্রশ্ন করার অনুমতি দেন এবং এ ব্যাপারে আকবরের আপত্তিও লিপিবদ্ধ করতে সম্মত হন।
জেরার সময়ে অন্য যে সব মহিলা সাংবাদিকের প্রসঙ্গ ওঠে, তাঁরা হলেন গাজালা ওয়াহাব, কাদম্বরী এম ওয়াড়ে, সোনালি খুল্লার শ্রফ, হরিন্দর বাওয়েজা প্রমুখ। এঁরা সকলেই আকবরের যৌন হেনস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন।
Read the Full Story in English