'হাত' ছাড়তেই জমি জালিয়াতির ফাঁসে বিজেপি নেতা জ্যোতিরাদিত্য

২০১৪ সালে একটি জমি জালিয়াতির মামলায় নাম জড়ানো জ্যোতিরাদিত্যর বিরুদ্ধে প্রমাণের অভাবে ২০১৮ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই মামলা।

২০১৪ সালে একটি জমি জালিয়াতির মামলায় নাম জড়ানো জ্যোতিরাদিত্যর বিরুদ্ধে প্রমাণের অভাবে ২০১৮ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই মামলা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

কংগ্রেস ত্যাগ করে মোদী শিবিরে যোগদানের একদিন কাটতে না কাটতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিরুদ্ধে জমি জালিয়াতির মামলা ফের সামনে আনল মধ্যপ্রদেশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা। ২০১৪ সালে একটি জমি জালিয়াতির মামলায় নাম জড়ানো জ্যোতিরাদিত্যর বিরুদ্ধে প্রমাণের অভাবে ২০১৮ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেই মামলা। কিন্তু মামলায় নতুন প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করে বৃহস্পতিবার সেই মামলাকে ফের জাগিয়ে তুলল অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা।

Advertisment

আরও পড়ুন: হাতেই থাকবে মধ্যপ্রদেশ, রাজ্যপালকে আস্থা ভোটের আর্জি প্রত্যয়ী কমলনাথের

মধ্যপ্রদেশের একদা কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্যর শিবির বদলে এমনিতেই রাজনৈতিক টানাপোড়েনে রয়েছে মধ্যপ্রদেশের রাজনীতি। এ হেন পরিস্থিতিতে ২০১৪ সালে জ্যোতিরাদিত্য এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে জমি বিক্রির সময় দলিল জালিয়াতির অভিযোগ করেন সুরেন্দ্র শ্রীবাস্তব। অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার আধিকারিকরা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলে, "সুরেন্দ্র শ্রীবাস্তবের দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা পুনরায় যাচাইয়ের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে"।

Advertisment

আরও পড়ুন: ‘রাজমাতা থাকলে তোমায় দেখে খুশি হতেন’, সিন্ধিয়াকে বিজেপিতে স্বাগত পিসি বসুন্ধরার

অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বৃহস্পতিবারই শ্রীবাস্তব ফের জমি জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন জ্যোতিরাদিত্য এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এটাই অভিযোগ যে ২০০৯ সালে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী যে ৬ হাজার স্কোয়ার ফিটের জমি দেওয়ার কথা সেই দলিলে জালিয়াতি করেছে সিন্ধিয়া পরিবার। ২০১৪ সালের ২৬ মার্চ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্তও। কিন্তু পরবর্তীতে প্রমাণের অভাবে ২০১৮ সালে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে বলছি: এনপিআর-এ কেউ সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত হবেন না’

অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার অধিকারিক বলেন, "তিনি আজ আমাদের কাছে আবারও আবেদন করেছিলেন। সেই কারণে আমরা তথ্যগুলি পুনরায় যাচাই করব।" তবে সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ সহযোগী পঙ্কজ চতুর্বেদী অভিযোগ করেন যে এটি সম্পূর্ণতই একটি রাজনৈতিক প্রতিশোধ। তিনি বলেন, "প্রমাণের অভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মামলাটি। প্রতিহিংসার জন্য এখন এটি আবার খোলা হচ্ছে। সংবিধান ও আইনের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা কমলনাথের সরকারকে উপযুক্ত জবাব দেব"।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bjp CONGRESS