ঠেলায় চাপিয়ে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। রোগী বহনের এই করুণ দশা ফাঁস করে দেওয়ায় মধ্যপ্রদেশে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় প্রতারণা এবং অসততা এবং জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে দায়ের হয়েছে এই এফআইআর। অ্যাম্বুল্যান্স নেই। তাই এক ব্যক্তি ঠেলায় চাপিয়ে তাঁর অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন। এমনই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
ওই খবর দেখে গত ১৭ আগস্ট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন ভিন্দের জেলাশাসক এস সতীশ কুমার। যে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাঁরা হলেন নিউজ 18-এর অনিল শর্মা, একটি সংবাদপত্রের প্রতিনিধি কুঞ্জবিহারী কৌরভ ও এক অনলাইন সংবাদমাধ্যম Lalluram.com-এর সাংবাদিক এনকে বাতেল্লা। তাঁদের খবর অনুযায়ী, হরি সিং নামে এক ব্যক্তি তাঁর বাবা জ্ঞানপ্রসাদ বিশ্বকর্মা (৭৬)-কে ঠেলায় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন। কারণ, ১০৮ নম্বরে বারবার ফোন করলেও তিনি ওই সময়ে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স পাননি। সেই রিপোর্ট প্রকাশের একদিন পরই তদন্তের নির্দেশ দেন ভিন্দের জেলাশাসক।
আরও পড়ুন- সিসোদিয়াকে ভারতরত্ন দেওয়া উচিত, বদলে সিবিআই দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে, তোপ কেজরিওয়ালের
তাঁর নির্দেশে পাটোয়ারির নেতৃত্বে ব্লক প্রশাসনের জনা সাতেক আধিকারিক হরি সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপরই এফআইআর দায়ের হয় ওই তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় প্রতারণা এবং অসততার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি, ৫০৫ ধারায় সরকারের দুর্নাম করা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ব্যাপারে সতীশ কুমার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, 'সরকারি আধিকারিকরা ওই ভুক্তভোগী ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তাঁদের জানিয়েছেন যে ১০৮ নম্বরে কোনও ফোনই করেননি। তাঁর বাবাকে কাছের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় ওই তিন সাংবাদিকের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়।'
জেলাশাসক জানান, তদন্তে দেখা গেছে যে ১০৮ নম্বর অপারেটরের কাছে হরি সিংয়ের কোনও মিসকলের রেকর্ড নেই। সতীশ কুমার বলেন, 'হরি সিংয়ের পরিবারের সদস্যরাই সরকারি আধিকারিকদের বলেছেন, যে তাঁরা সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন। যে প্রকল্পের সুবিধাগুলো পাচ্ছেন না, সেগুলোও যাতে পান, তার ব্যবস্থা করা হবে।'
Read full story in English