কথিত আছে ভারতের মতো দেশে দু'হাত ভরে রোজগারের সবচেয়ে সহজ উপায় রাজনীতিতে নামা। এ দেশে বিএমডব্লিউ কিমবা মার্সিডিজ বেঞ্জ চড়ার জন্য স্কুলের গণ্ডী পেরোনোও বাধ্যতামূলক নয়। তবে ব্যতিক্রম কি আর নেই? মধ্যপ্রদেশে তেমন-ই এক উলট পুরাণ নজর কেড়েছে সব্বার। বিধায়কের মাথায় কেবল ছাদটুকুই ছিল সম্বল। কুঁড়ে ঘরে থাকতেন তিনি। কেন্দ্রের ভোটাররাই এখন চাঁদা তুলছেন বাড়ি তৈরির জন্য।
মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে শেওপুর-এর বিজয়পুর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছেন বিজেপি নেতা সীতারাম আদিবাসী। বিধায়ক হিসেবে প্রথম মাসের বেতন পাননি এখনও। হারিয়েছেন হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা রামবিলাস রাওতকে।
সরকারি এক আধিকারিক মারফত জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের বিধায়ক মাসিক ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। এক আধিকারিকের কথায়, "আমরা টাকা তুলে বিধায়ক এবং তাঁর স্ত্রীর বসবাসের উপযোগী দু' কামরার একটি ঘর বানিয়ে দিচ্ছি।"
এলাকার বাসিন্দা ধনরাজ জানিয়েছেন, "উনি কোনও শর্ত ছাড়াই কঠিন সময়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।" এই মুহূর্তে বাড়ি তৈরির মতো টাকা তাঁর কাছে নেই, স্বীকার করেছেন বিধায়ক নিজেই। জানিয়েছেন, প্রথম মাসের বেতন এলাকার গরিবদের কল্যাণেই খরচ করবেন।
সীতারাম আদিবাসীর তরফে আদালতে জমা দেওয়া হলফনামা বলছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে ৪৬ হাজার ৭৩৩ টাকা ছিল বিধায়কের সঞ্চয়। এছাড়া রয়েছে ৬০০ বর্গ ফুটের একখণ্ড জমি। সেই জমিতেই এক কুঁড়ে ঘরে সস্ত্রীক থাকেন সীতারাম। আরও দুটি জমি রয়েছে যার বাজার মূল্য ৫ লক্ষ টাকা।
Read the full story in English