সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অপরাধে ২৩ বছরের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিল মধ্যপ্রদেশের সাতনা আদালত। চলতি বছরের ১ জুলাই ওই শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করা হয়। আপাতত এইমসে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়েছিল তাকে।
জেলা বিচার বিভাগের এক আধিকারিক গণেশ পাণ্ডে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই প্রথম ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে ধর্ষিতা অপরাধীকে চিহ্নিত করল। অপরাধী ধর্ষিতার পরিবারের ঘনিষ্ঠ।
ডিএনএ রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই অতিরিক্ত জেলা বিচারপতি কে শর্মা অপরাধীকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবি ধারায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। বিগত সাত মাসে ১৩টি ধর্ষণের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ আদালত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষিতাদের বয়স ১৮ বছরের কম।
আরও পড়ুন,চার বছর বয়সীকে ধর্ষণ: আসামির মৃত্যুদণ্ড স্থগিত শীর্ষ আদালতে
গত কালই মধ্যপ্রদেশে চার বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও হত্যার অন্য এক ঘটনায় অপরাধীর মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এএনআই রিপোর্ট অনুসারে, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের জব্বলপুর বেঞ্চ এই অপরাধীকে মত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল।
গত ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশে ধর্ষণের শাস্তি সংক্রান্ত নতুন বিল পেশ করা হয়েছিল বিধানসভায়। সে বিল পাশও হয়েছিল। সেই আইন অনুযায়ী, ১২ বছর বা তার অনূর্ধ্ব বয়সী মেয়েদের ধর্ষণের অপরাধীদের ন্যূনতম শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। এই ক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশকে একে একে অনুসরণ করে হরিয়ানা, রাজস্থান এবং অরুণাচল প্রদেশ। দিল্লি এবং কাশ্মীরও সম্প্রতি এই আইন জারি করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে লোকসভাতেও এ ধরনের একটি বিল পাশ হয়। এর আগেই অবশ্য কাঠুয়া এবং উন্নাও-এর গণ ধর্ষণ কাণ্ডে 'হাত গুটিয়ে বসে' থাকার অভিযোগ ওঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে। সেই সময়ে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করা হয় কেন্দ্র থেকে, যার মূল বক্তব্য একই - ১২ বছর অথবা কম বয়সী মেয়েদের ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।