Maha Shivratri 2025: তলোয়ার, গদা ও ত্রিশূল হাতে হাজির ১০ হাজার নাগা সাধু, মহাশিবরাত্রিতে 'হর হর মহাদেব' গর্জন কাশীতে

মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে সারা দেশে উৎসবের পরিবেশ। সব শিব মন্দিরেই ভক্তদের ভিড় দেখা যায়।

উত্তরপ্রদেশেও মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে ভক্তদের ভিড় দেখা গেছে।

মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে প্রায় ১০ হাজার নাগা সাধু বারাণসী পৌঁছেছেন কাশী বিশ্বনাথকে দর্শন করতে।

মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ মেলা থেকে বিভিন্ন আখড়ার ঋষি, সাধু ও তপস্বীরা এসেছেন কাশীতে।

সকাল থেকেই আখড়ার ঋষি, সাধু-সন্ন্যাসীরা বাবা বিশ্বনাথের দর্শনে আসেন।

এসময় নাগা সাধুরা তলোয়ার, গদা ও ত্রিশূল হাতে নিয়ে হর হর মহাদেবের ধ্বনি দিতে থাকেন।

হাতে গদা-ত্রিশূল নিয়ে, হাতি-ঘোড়ায় চড়ে এবং গায়ে ছাই ও ফুলের মালা পরিয়ে 'হর-হর মহাদেব' বলে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পৌঁছান তাঁর।

জুনা আখড়ার নাগা সন্ন্যাসী প্রথমে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে পৌঁছান। আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অবধেশানন্দ গিরিও সঙ্গে ছিলেন।

কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে মহাদেবের দর্শনের জন্য প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন পড়ে।

মহাশিবরাত্রিতে বাবা বিশ্বনাথকে বরের মতো সাজানো হয়েছিল।

বর্তমানে মন্দিরের আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট রয়েছে। বিশেষ করে ময়দাগিন মোড় থেকে গোদাউলিয়া পর্যন্ত যানজট রয়েছে।

মহাশিবরাত্রিতে, মহাকুম্ভের শেষ শাহী স্নানের পর শৈব সম্প্রদায়ের নাগা সাধুরা কাশী বিশ্বনাথের জলাভিষেকের জন্য বারাণসীতে আসেন।

শোভাযাত্রায় পুরো এলাকা ডমরুর ধ্বনি ও হর হর মহাদেবের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। এই শোভাযাত্রায় আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর রাজকীয় রথে বসেছিলেন এবং কাশীবাসীরাও হর হর মহাদেব ধ্বনিতে তাঁদের স্বাগত জানাচ্ছেন।

মহাদেবের দর্শন পেতে রাত থেকেই কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে ভিড়। আসলে, মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে সকালে মঙ্গলারতির সময় মহাদেবকে সুন্দর করে সাজানো হয়। তাঁকে বর বানানো হয় এবং প্রতি বছর তাঁকে দেখতে ভক্তদের ভিড় জমে যায়।