রেকর্ড ফলন এবং সেই সঙ্গে রেকর্ড রপ্তানির আশায় বুক বাঁধছেন আম ব্যবসায়ীরা। টানা দু'বছরের খরা কাটিয়ে চলতি বছরে ৫০ হাজার টন আম রপ্তানির আশা করছেন তারা। ভারতের একাধিক অংশে দেশীয় আমের চাহিদা যেমন বেশি, তেমনই বিদেশের বাজারে ভারতীয় আমের ব্যপক চাহিদা রয়েছে। মহারাষ্ট্র কৃষি বিপণন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীল পাওয়ার বলেছেন, 'ইতিমধ্যেই আমের রপ্তানির ব্যপারে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে'।
কোভিডের কারণে গত দুবছর মার খেয়েছে আম রপ্তানি। জারী ছিল নিষেধাজ্ঞা। ফলে দুবছরে তেমন লাভের মুখ দেখতে পারেননি আম ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। ২০২০-২০২১ সালে ভারত ২৭,১৮৭.৫৩ টন আম রপ্তানি করেছিল, যা ২০১৯-২০ সালের রপ্তানির থেকে অনেকটাই কম। ২০১৯-২০ সালে এই পরিমাণ ছিল ৪৯,৬৫৮.৯৭ টন।
তবে কোভিড পরবর্তী কালে চলতি বছরে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে যাবে বলেই মনে করছেন আম ব্যবসায়ীরা। মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের আম চাষীরা চলতি বছর রেকর্ড ফলনের আশা করছেন। তবে তার মধ্যেও বেশ কয়েকটি অংশে আমের ফুল দেরিতে আশায় কিছু অংশে ফলনের ঘাটতির আশঙ্কাও করছেন আম চাষীরা। সেই সঙ্গে আম চাষীরা যাতে আমের ন্যায্য মূল্য পান সে ব্যাপারে MSMAB ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে একটি বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছে।
পাশাপাশি রেকর্ড ব্যবসার আশায় বুক বেঁধেছেন মালদার আম ব্যবসায়ীরাও। বিদেশের বাজারে চাহিদা বেড়েছে মালদার আমের। এর আগে তিন মেট্রিক টন আম পাঠানো হয়েছিল বিদেশে। মালদার আমের স্বাদে মজে আরও বরাত এসেছে বলে খবর। সবজি প্রক্রিয়াজাত করণ ও প্যাকেজিং হাউস না থাকায় কিছুটা মন খারাপ আম চাষীদের।
মালদার আম বিখ্যাত হওয়ার প্রথম কারণ হচ্ছে তার স্বাদ। ভারতের অন্যান্য যে কোনো জায়গার আমের তুলনায় মালদার আম ভীষণ সুস্বাদু।চলতি মরশুমে জেলার আমবাগানগুলিতে ব্যাপক আশার আলো দেখছেন আম চাষিরা। আবহাওয়া ঠিক থাকলে এবারও রেকর্ড ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত মৌসুমে জেলায় আম চাষ ভালো হয়েছিল তবে চলতি বছরে সেই রেকর্ডও ভেঙ্গে যাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন মালদার আম চাষীরা।
Read in English