মহারাষ্ট্রে ফের কৃষক মৃত্যু। আত্মঘাতী হলেন পুণের এক চাষি। ৪৫ বছরের ওই কৃষক পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে সূত্রের খবর। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, নিজের মৃত্যুর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দায়ী করেছেন। পুলিশ দশরথ লক্ষ্মণ কেদারি নামে ওই চাষির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, কেদারি দেহের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই কৃষক। পাশাপাশি ঋণদানকারী সংস্থার আধাকারিকদের ক্রমাগত নিগ্রহের জেরে মানসিক অবসাদ ভুগছিলেন তিনি। কেদারি মহারাষ্ট্র সরকার এবং কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে চিঠিতে তুলোধনা করেছেন।
কেদারি করোনা অতিমারিতে যেভাবে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং তাঁদের দুরাবস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন সুইসাইড নোটে। এইসঙ্গে প্রবল বর্ষণেও চাষের ক্ষতি হয়েছিল বলে তিনি চিঠিতে লেখেন। সহায়ক মূল্য নিয়ে কেন্দ্রের গড়িমসি এবং প্রধানমন্ত্রীর নিষ্ক্রিয়তাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কেদারি। নিজের মৃত্যুর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকেও দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুন দু’টি প্রাণের মূল্য মাত্র ১০ হাজার টাকা! প্রশ্ন তুলে দোষীদের ফাঁসির দাবি মৃতার বাবার
হাতে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, "আমাদের কাছে কোনও টাকা নেই। পাওনাদাররা অপেক্ষা করতে পারছে না। কিন্তু মোদী সাহেব আপনি শুধু নিজের কথা ভাবেন। ফসলের সঠিক দাম দিচ্ছেন না। কৃষিক্ষেত্রে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই আপনাদের। তাহলে চাষিরা কী করবে? বিচারের জন্য তাহলে কোথায় যাব? সমবায় আধিকারিকরা ক্রমাগত নিগ্রহ করত। আজ আমি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলাম। তা-ও আপনার উদাসীনতার জন্য। আমাদের ফসলের সঠিক দাম দিন। সেটা আমাদের হকের টাকা।"
কৃষক মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুণে গ্রামীণ পুলিশের টিময দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় তেহসিলদার এবং প্রশাসনের কর্তারা নিহত কৃষকের বাড়ি যান। রবিবার কৃষকের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তাঁর স্ত্রী, মা, এবং দুই সন্তান।