গত মাসে দাদরা ও নগর হাভেলির একমাত্র সাংসদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভ থানার পুলিশ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসক প্রফুল খোড়া প্যাটেল-সহ সাত জনের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করল। গত ২২ ফেব্রুয়ারি মেরিন ড্রাইভে হোটেল সি গ্রিনের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় নির্দল সাংসদের দেহ। তাঁর মৃত্যুর রহস্য কী তা জানতে তৎপর মুম্বই পুলিশ।
মোহন ডেলকর মৃত্যুর আগে ১৫ পাতার একটি সুইসাইড নোট রেখে যান। তাতে প্যাটেলের নাম ছিল। তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কালেক্টর এবং পুলিশ সুপারের নামও ছিল। সাংসদের ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে এই আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু হয়েছে। মোহন ডেলকরের ছেলে অভিনব দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "আমি মুম্বই এসে মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী এবং মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁরা আমাকে সবরকম সাহায্য এবং আমার পরিবারকে বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।"
মঙ্গলবার মেরিন ড্রাইভ থানায় এসে বয়ান রেকর্ড করান অভিনব। এসিপি পাণ্ডুরাং শিণ্ডের সামনে একটি এফআইআর দায়ের করেন। এর কিছুক্ষণ পর রাজ্য সরকার এই মৃত্যুর তদন্তের জন্য সিট গঠনের কথা ঘোষণা করে। তার আগে বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ মানসুখ হিরেনের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সরব হন। শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির বাড়ির বাইরে বিস্ফোরক বোঝাই যে গাড়ি পাওয়া গিয়েছিল, তার মালিক ছিলেন হিরেন। বিধানসভায় হিরেনের মৃত্যুর ঘটনায় মুম্বই পুলিশের অফিসার শচীন ভাজের গ্রেফতারির দাবি জানান ফড়ণবিশ।
মোহন ডেলকরের ছেলে অভিনবের দাবি, দাদরা-নগর হাভেলির স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বহুবার মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করেছিল তাঁর বাবাকে। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপ সহ্য না করতে পেরেই এই চরম সিদ্ধান্ত নেন সাংসদ, এমনটাই মনে করছেন ছেলে।